রেল সূত্রের দাবি সোমবার ভোর ৫টা থেকেই রাঙাপানি আর আলিয়াবাড়ি অংশে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল খারাপ হয়ে গিয়েছিল। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যায়।
কী কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন উদ্ধারকাজই প্রাথমিক লক্ষ্য। তবে গোটা ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রেল জানিয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন একই লাইনে কী করে দুটি ট্রেন চলে এল। তবে রেল সূত্রের খবর সিগনালের সমস্যা থাকার কারণেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
সিগন্যাল বিভ্রাট-
রেল সূত্রের দাবি সোমবার ভোর ৫টা থেকেই রাঙাপানি আর আলিয়াবাড়ি অংশে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল খারাপ হয়ে গিয়েছিল। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যায়। তাই কাগুজে ছাড়পত্র বা পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট নিয়েই ট্রেন চলাচল করছিল। রাঙাপানি আর আলুয়াবাড়ি অংশে ট্রেন চলাচলও ছিল ধীর গতিতে।
পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট-
সিগন্যাল খারাপ হওয়ার জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালককে রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার টিএ ৯১২ ফর্ম দিয়েছিল। এটির মাধ্য়মেই স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল খারাপ হলে ট্রেন চলাচলের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে এই ফর্মের শর্তই হল ধীর গতিতে ট্রেন চালান। ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি হবে না। কাঞ্চনগঙ্ঘা এক্সপ্রেস খুব ধীর গতিতে চলছিল।
পিছনে মালগাড়ি-
রেল সূত্রের খবর একই ভাবে পিছনে আসা মালগাড়িতে টিএ ৯১২ ফর্ম দেওয়া হয়েছিল রাঙাপানি স্টেশন থেকে। দুটি ট্রেনের মধ্যে ১৫ মিনিটের ব্যবধান ছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি স্টেশন ছাড়ে সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে। আর মালগাড়ি ওই একই স্টেশন ছাড়ে সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে। কিন্তু তারপরেও ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তীব্র গতিতে আসা মালগাড়ি ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। পিছনের তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশ্ন টিএ ৯১২ ফর্ম মালগাড়ির চালককে দেওয়া হলেও কী করে মালগাড়ির গতিবেগ বেশি ছিল। মালগাড়ি কী করে দ্রুত এগিয়ে যায়। আদৌকি মালগাড়ির চালকে পেপার ক্লিয়ার দেওয়া হয়েছিল- তদন্তের পরই এর উত্তর পাওয়া যেতে পারে।