
রাজ্যের প্রাপ্য ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আদালতের নির্দেশের পরও টাকা দিচ্ছে না। এই নিয়ে সরব হয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদরা। আদালতের নির্দেশের পরও কেন টাকা আটকে রাখা হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। জানতে চেয়েছেন মালা রায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কীর্তি আজাদ, সৌগতরায়। তাঁরা জানতে চান, কেন্দ্র কি রাজ্যকে একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে? পশ্চিমবঙ্গ-সহ কোন রাজ্যে কত টাকা বাকি আছে? এই প্রশ্নও তুলেছেন তারা। এরই সঙ্গে তারা জানতে চান, সুপ্রিম কোর্ট যদি রাজ্যে একশো দিনের কাজ ফের শুরুর নির্দেশ দিয়ে থাকে, তাহলে বকেয়া টাকা করে দেবে কেন্দ্র?
মঙ্গলবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদরের প্রশ্নের লিখিত জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাসওয়ান। তিনি স্পষ্ট করে জানান কেন দেওয়া হচ্ছে না টাকা।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাসওয়ান জানান, হাইকোর্ট বাংলায় একশো দিনের কাজ ফের শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ কীভাবে কার্যকর করা যায়, তা খতিয়ে দেখছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। বাংলায় একশো দিনের টাকা আটকে রাখার কারণ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশ পালন করেনি রাজ্য। মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট ২০০৫-র ২৭ ধারা অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৮ মার্চের হিসেবে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ৩০৮২.৫২ কোটি টাকা পাবে বাংলা। যা এখনও দেয়নি মোদী সরকার।
এদিকে এই বিষয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে মমতা সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একশো দিনের কাজে দেশের এক নম্বরে ছিল রাজ্য। তারই টাকা আটকে রেখে কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে বঞ্চনা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সব মিলিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে একশো দিনের কাজ। এখনও মেলেনি টাকা। অর্থাৎ এখনও কাটেনি ১০০ দিনের কাজ নিয়ে চলতে থাকা জট।