সাবধান! ২০৩০ সালের মধ্যেই কলকাতায় ঢুকে পড়বে সমুদ্রের নোনা জল, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা

সমুদ্রের জলস্তর হুহু করে বাড়ছে। আর তলিয়ে যাচ্ছে ভারতের অন্যতম শহরগুলি। বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেশের একাধিক মেট্রোপলিটান শহর।

কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মত সমুদ্রতীরবর্তী শহরগুলির বিপদ সবথেকে বেশি।

একটি গবেষণা রিপোর্ট বলছে আর মাত্র ৬ বছরের মধ্যেই কলকাতাকে স্পর্শ করবে সমুদ্রের জল।

তারপর কলকাতা সহ বাংলার বৃহদাংশ জলের অতলে তলিয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে ভূতত্ত্ববিদরা বলেন, কলকাতার মাটির তলা থেকে ধীরে ধীরে পলি রাশি সরে যাচ্ছে। কলকাতার মাটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

উল্টোদিকে সমুদ্রের জলস্তরের পরিমাণ অতি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এভাবে জলস্তর বাড়তে থাকাটা কলকাতার জন্য ভয়ংকর। শুধুমাত্র কলকাতা নয়। ভারতবর্ষের উপকূলবর্তী এলাকার ১২টি শহর তলিয়ে যেতে পারে আগামী ১২-১৫ বছরের মধ্যে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রা বাড়ছে সব জায়গা। অ্যাভারেজ গ্লোবাল টেম্পারেচার হু হু করে বেড়ে চলেছে। সমস্ত বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলে দিচ্ছেন এই এই জায়গা এইভাবে ডুবে যাবে।

অনেক বিজ্ঞানীর কথায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বউষ্ণায়ন যদি বন্ধ না করা যায় তাহলে বিপদ ভয়ঙ্কর হতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশই তলিয়ে যেতে পারে জলের তলায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিমবাহ গলে সমুদ্রের জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। কয়েকফুট পর্যন্ত বাড়বে সমুদ্রের জলতল। সমুদ্রের জলস্তর বাড়লে নদীতে নোনা জল ঢুকতে শুরু করবে।

ইতিমধ্যে অনেক উপকূলীয় শহরগুলির পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হচ্ছে। জলের স্তর বাড়ার কারণে ভাঙছে নদীবাঁধ।

পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকা থেকে স্ট্রেটলাইনে প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত সমুদ্রের তলায় চলে যাবে। এই ঘটনার ১০ বছর পর ভূমিভাগের আরও ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে সমুদ্রের জল ঢুকে পড়বে।