আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকরা বুধবার রাতে যে এক ঘন্টার আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ জানানোর কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন তা সর্বাঙ্গে সফল।
এদিন কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের আলো নিষ্প্রদীপ করে দেওয়া হয়। রাজভবনেও(Rajbhavan) রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের নির্দেশে নিভিয়ে দেওয়া হয় সমস্ত আলো।
গোটা শহর জুড়ে রাত নটার পর থেকে নেমে আসে আধার। রাস্তার আলো ছাড়া দোকান থেকে ফ্ল্যাট, বাড়ি থেকে ঘর সর্বত্র আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষ মোমবাতি, টর্চ, মোবাইলের আলো আর প্রদীপ নিয়ে রাস্তায় নামে।
রুবির মোড় থেকে নিউটাউনের বিশ্ববাংলা গেটে গুরুত্বপূর্ণ মোড় থেকে শুরু করে বারাসতের ডাকবাংলো মোড় কিংবা ক্যানিং থেকে শ্রীরামপুর, এয়ারপোর্ট থেকে শ্যামবাজার সর্বত্র সাধারণ মানুষ আলো নিভিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে শুরু করে।
সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবার আরজি কর(R G Kar) কাণ্ডের মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে ক্ষোভ উগরে দেয়। যাদবপুরে পথ নাটিকার মাধ্যমে গর্জে ওঠে সাধারণ মানুষ।
বুধবার মোমবাতি প্রদীপের পাশাপাশি মশাল নিয়েও গার্ডেনরিচ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল বের হয়। ব্যস্ত শ্যামবাজার মোড় থেকে কলেজ স্ট্রিট, ধর্মতলা, হাওড়া, ব্যারাকপুর সর্বত্র মানুষ অভয়ার বিচার চেয়ে গর্জে ওঠে।
আরজি করে আন্দোলনে পড়ুয়া চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগ দেন নিহত পড়ুয়া তরুনীর পরিবার। ১৪ অগাস্টের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার অনেক আগেই আর্জি করেন চারপাশে কড়া পুলিশি বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়।
গোটা শহরে পুলিশের টহলদারি জোরদার করা হয়। কোথাও গানের মধ্যে দিয়ে উইশ্যাল ওভারকাম কোথাও আমরা করবো জয় কোথাও আবার ভাঙবো এই লৌহ কপাট এই গান উচ্চারিত হয় কন্ঠে কণ্ঠে।
তিলোত্তমার 'বিচার পেতে আলোর পথে' (RG Kar Case) ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আলো নিভিয়ে অন্ধকার রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
সেই ডাকে সাড়া দিয়ে পথে নামলেন শহরের মানুষ। গানে-কবিতায় নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরছেন প্রতিবাদকারীরা। শ্যামবাজার থেকে যাদবপুর, নিউটাউন থেকে ভিক্টোরিয়া চত্বর সর্বত্র আরও একবার রাস্তায় নেমে এলেন সাধারণ মানুষ। রাজ্য জুড়ে বেনজির প্রতিবাদ।