রাত ১০টা ১২ থেকে ৬০ মিনিট ঠিক কী কী হয়েছিল? কৃষ্ণনগর হত্যাকাণ্ডে ৬টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ

কৃষ্ণনগরের দ্বাদশশ্রেণির তরুণী খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই রহস্য বাড়ছে। এখনও খুনের মোটিভ খুঁজে পায়নি তদন্তকারীরা।

কৃষ্ণনগরের তরুণীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ঘটনার সময়ের ৬০ মিনিট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। পুলিশ খুঁজছে ৬টি প্রশ্নের উত্তর।

কৃষ্ণনগরের তরুণীর আধপোড়া দেহ যে স্থানে উদ্ধার হয়েছিল সেই স্থান শনিবার পরিদর্শন করেন ময়নাতদন্তকারী দলের চিকিৎসকরা। এই ঘটনাকে তদন্তের পরিভাষায় বলে প্লেস অফ অকারেন্স ভিজিট।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেঅ্যান্টিমর্টেম বার্ন ইনজুরু বা মৃত্যুর আগে অগ্নিদদ্ধ হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা।

বিশেষজ্ঞদের দাবি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে ঘটমা স্থলে পাওয়া তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চিকিৎসকরা। যদিও তদন্তকারীরা এই বিষয়ে কিছুই বলেননি।

জিজ্ঞাসাবাদ, মৃতার পরিবারের বয়ান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পাওয়া তথ্য চেন অফ অকারেন্স বা ঘটনা পরম্পরা মিলিয়ে দেখতে গিয়ে কিছু জায়গায় খটকা লাগছে তদন্তকারীদের।

ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে মৃত্যুর আগে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাহলে তরুণী আর্তনাদ করল না কেন? কারণ আধপোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছে পুজো প্যাণ্ডালের খুব কাছেই। সেখানে উপস্থিত স্থানীয়রা কেন সেই কোনও আওয়াজ শুনতে পেল না।

পুলিশ সূত্রের খবর ঘটনার দিন রাত ১০টা ১২ থেকে ১১ট ১২ মিনিট পর্যন্ত ঠিক কী কী ঘটেছিল সেটা জানাগেলেই রহস্যের জট ছাড়ান যাবে।

তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে চারটি প্রশ্ন। সেগুলি হল- কলেজমাঠে তরুণী কর সঙ্গে গিয়েছিলেন? ঘটনার দিন তরুণীর ফোন থেকে একাধিকবর অভিযুক্তকে ফোন করা হয়েছিল- কী নিয়ে কথা হয়েছিল? মৃত ও ধতের সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি না টাকা- কী নিয়ে সমস্যা হয়েছিল? ঘটনার দিন তরুণী ও তাঁর প্রেমিকের মধ্যে দেখা হয়েছিল কিনা? কারণ মোবাইল টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী দুজনে একই জায়গায় ছিলেন। কিন্তু ধৃত বলছে দেখা হয়নি।

পুলিশের প্রশ্ন হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস নিয়েও। হোয়াট্‌সঅ্যাপ স্টেটাসে আত্মহত্যা করছেন বলে যে লাইন লেখা হয়, সেটা কি তরুণী নিজেই লিখেছিলেন, নাকি অন্য কারও লেখা?