ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই বুলডোজার নিয়ে বেআইনি দখল করা ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযানে কৃষ্ণনগর পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসন। না জানিয়ে উচ্ছেদ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হকাররা।
এবার বেআইনি ভাবে দখল করে থাকা ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযান কৃষ্ণনগর পৌরসভার। কিছুদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভায় রাজ্যের সমস্ত পৌরসভা কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন বেআইনিভাবে দখল করে রাখা ফুটপাত দখল মুক্ত করতে হবে। যে সমস্ত মানুষজন বেআইনিভাবে ফুটপাতের ওপর দখলদারি করে ব্যবসা করছে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই শনিবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বুলডোজার দিয়ে কৃষ্ণনগর পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় হকার উচ্ছেদ অভিযানে নামল কৃষ্ণনগর পৌরসভা ।
এদিন সাত সকালেই দুটি বুলডোজার সঙ্গে নিয়ে প্রথমে কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদের সামনে দখল করে রাখা বিভিন্ন জায়গা পরবর্তীতে কৃষ্ণনগর পুলিশ লাইন চত্বর এবং তারপর কৃষ্ণনগর ডিএম অফিসের সংলগ্ন জায়গা তত সহ পুলিশ সুপারের অফিসের আশেপাশে ফুটপাতের ওপর দখল করে রাখা বেআইনি দোকান উচ্ছেদ করতে উদ্যোগী হল কৃষ্ণনগর পৌরসভা পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণনগরের এসডিও নগর পুলিশ জেলার ডিএসপি হেডকোয়ার্টার এবং কৃষ্ণনগর থানার আইসির নেতৃত্বে এই হকার উচ্ছেদ অভিযান চলে।
যদিও বুলডোজার দিয়ে সরকারি জমি বেদখল করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে 'বুলডোজার দিয়ে দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া এখানকার ( বাংলার) সংস্কৃতি নয়।' তারপরেও সেই বুলডোজার ব্যবহার করেই একের পর এক দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বর্তামানে তিনি রয়েছেন দিল্লিতে। যোগ দিয়েছেন সংসদের বাদল অধিবেশনে। কিন্তু মমতার এই বক্তব্যের পরেও কী করে কৃষ্ণনগরে বুলডোজার দিয়ে ফুটপাথ বেদখল করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Mango Benefit: নিত্যদিন আম খান তো? জানুন আমকে ফলের রাজা বলার ৮টি কারণ
অন্যদিকে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হকারদের ফুটপাথ থেকে ব্যবসা সরিয়ে নেওয়ার জন্য এক মাস সময় দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তারই মধ্যে নতুন ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। তার আগেই বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হকারদের রুজিরুটির সংস্থান। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হকাররা। স্থানীয় হকাররা জানিয়েছেন তাঁদের না জানিয়েই ভেঙে দেওয়া হচ্ছে দোকানপাট। তারা ব্যবসার সামগ্রী পর্যন্ত সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাননি। তাদের বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।