সংক্ষিপ্ত

মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে রিপোর্ট জমা পড়ে। পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই।

 

জমি দখলের অভিযোগ খোদ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু সেই মামলায় পুলিসের রিপোর্টে রীতিমত অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি রাজ্য পুলিশকে আবারও মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

মামলাকারীদের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হাওড়ার চ্যাটার্জি হাটের একটি একটি রেস্তরাঁ লাগোয়া একটি ফাঁকা জমি দখল করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরেই জমি দখলের চেষ্টা করছেন। একাধিকবার পুলিশকেও জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ ডেবরার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর নিজের প্রভাব খাটিয়ে প্রতিবেশীদের জমি দখল করছেন। কোথায় কোথায় পাঁচিল তোলার জন্য মাটি খোঁড়়ার কাজও শুরু হয়েছে। কোথাও আবার কলম তৈরি হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ নিস্ক্রীয় বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল তাঁদের বারবার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য।

এই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে রিপোর্ট জমা পড়ে। পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। পুলিশ সরেজমিনে ঘটনার তদন্ত করেছে। কিন্তু জমি দখলের কোনও চিহ্ন তারা পায়নি। তবে পুলিশের রিপোর্ট মানতে পারেনি বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি নতুন করে পুলিশকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

অমৃতা সিনহা বলেছেন, স্থানীয় বিএলএলআরওকে দিয়ে জমি চিহ্নিত করাতে হবে। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করতে হবে। তারপরই রিপোর্ট দিতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, মামলাকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য পুলিশকেও। প্রথমে এই মামলা উঠেছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। পরবর্তী সময় মামলা স্থানান্তরিক হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। মামলা করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ৭৩ বছরের রেখা দাস ও তারকনাথ জয়সওয়াল।