Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় খবর, নাম কাটা যেতে পারে এই শর্ত না মানলে
২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়াতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নবান্ন এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি। কিন্তু এগুলি না থাকলে বাতিল হয়ে যেতে পারেন আপনার নাম।
Saborni Mitra | Published : Nov 10, 2024 4:33 AM IST / Updated: Nov 10 2024, 10:04 AM IST
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হল মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জনপ্রিয়তা
২০২১ সালে শুরু হয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের ভর করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটো জয়ী হয়ে নবান্নে তৃতীয়বার বসেছিলেন।
অন্যরাজ্যেও জনপ্রিয়
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এতটাই জনপ্রিয় যে অন্যন্য রাজ্যেও এজাতীয় প্রকল্প চালু করেছে সেই রাজ্যের সরকার। নয়তো বা ভোটের প্রতিশ্রুতি হিসেবে ব্যবহার করেছে এই জাতীয় প্রকল্পের কথা।
টাকা বাড়াতে পারে
সম্প্রতি এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিজয় সম্মেলনী অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়ানোর কথা বলেছেন। এই প্রকল্পের ২০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
বর্তমানে অনুদান
বর্তমানে রাজ্য সরকার সাধারণ মহিলাদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসিক ১০০০ টাকা করে দেয়। পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের দেওয়া হয় ১২০০ টাকা।
আবেদনকরীর জন্য আবশ্যক
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য অবশ্যই এই রাজ্যের নাগরিক হতে হবে। ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের গ্রাহক বাড়ান হতে পারে বলেও নবান্ন সূত্রের খবর। তবে তার জন্য সবথেকে জরুরি একটি জিনিস।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য থাকতে হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। আবেদনকারীর পরিবারকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে নাম লেখাতে হবে। তবেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়াও লাগবে
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছাড়াও আবেদন করার জন্য লাগবে আধার কার্ডের জেরক্স। তফশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য তাদের সেই সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
যারা পাবেন না
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধে পাবেন না সরকারি কর্মী বা সরকারি পেনশন প্রাপক মহিলারা। সরকারি কোনও অনুদান গ্রহণ করলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে নাম বাদ যাবে।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
সরকারি আধিকারিকরা সব তথ্য যাচাই করে অনুমোদিত হলে প্রকল্পের টাকা সরাসরি আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য যদি সঠিক ভাবে না দেওয়া হয় তাহলে মিলবে না এই প্রকল্পের টাকা। তাই ঠিকঠাক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে হবে।