লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পথচলা শুরু ৫০০ টাকা দিয়ে, সুবিধেভোগীদের সংখ্যা সামনে আসতেও তোলপাড় শুরু

রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হন রাজ্যের মহিলারা।

রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ বিভাগ এই প্রকল্পের সুবিধে দেয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিকভাবে উপকৃত হয় রাজ্যের মহিলার।

রাজ্যে ট্যাব কেলেঙ্কারির পরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকেই মডেল প্রকল্প করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তেমনই খবর নবান্ন সূত্রের।

রাজ্য সরকার সূত্রের খবর, তিন বছর ধরে চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। কিন্তু এই প্রকল্প নিয়ে কোনও দুর্নীতি বা কেলেঙ্কারির খবর পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি এই প্রকল্পকে আরও বড় করতে চায় রাজ্য সরকার। তেমনই খবর রয়েছে সূত্রের। কারণ নতুন আবেদনকারীদের নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার।

ঠিক কতজন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধে পায় তাই নিয়ে সামনে এসেছে বড় তথ্য। সম্প্রতি জানাগেছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ২ কোটি মহিলা উপকৃত হন।

রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক মহিলাকে বছরে ১২০০ টাকা দেয়। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মহিলাদের মাছে ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়।

এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে আবেদনকারিণীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীর পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফ্রি ফর্ম নিয়ে তা ঠিকঠাক পূরণ করতে হবে। সাথে দিতে হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জেরক্স, আধার কার্ড।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছাড়াও আবেদন করার জন্য লাগবে আধার কার্ডের জেরক্স। তফশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য তাদের সেই সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধে পাবেন না সরকারি কর্মী বা সরকারি পেনশন প্রাপক মহিলারা। সরকারি কোনও অনুদান গ্রহণ করলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে নাম বাদ যাবে।