ফের একবার রেলযাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। ভিড়ে উপচে পড়া ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে শিয়ালদহ মেইন শাখায় মৃত্যু হল এক যুবকের।
ফের একবার রেলযাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। ভিড়ে উপচে পড়া ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে শিয়ালদহ মেইন শাখায় মৃত্যু হল এক যুবকের।
শুক্রবার সকালে, শিয়ালদহ মেইন শাখায় ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল বছর ২২-এর এক যুবকের। তাঁর নাম মহম্মদ আলি হাসান আনসারি। জানা যাচ্ছে, টিটাগড়ের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানিবাজার অঞ্চলের বাসিন্দা তিনি।
সূত্রে মারফৎ জানা যাচ্ছে, ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। শুক্রবার সকালে শিয়ালদহ মেইন শাখায় টিটাগড় এবং খড়দহ স্টেশনের মাঝে এই ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিএন বসু হাসপাতালে। সেখানেই মহম্মদ আলি হাসান আনসারিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
যাত্রীদের কথায়, “টিটাগড় থেকে ওঠে এই ছেলেটি। অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য ভিতরে ঢুকতে পারেনি ও। বাইরেই ঝুলছিল, হঠাৎ টিটাগড় এবং খড়দহ স্টেশনের মাঝে ট্রেন থেকে পড়ে যায় ও। আমরা সবাই ধরাধরি করে ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
এদিকে, তাঁর পরিবারের তরফে হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি, হাসপাতালে ভাঙচুরও চালানো হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় টিটাগড় থানার পুলিশ। অন্যদিকে, হাসপাতাল সুপার অমিতাভ ভট্টাচার্য কোনও গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত শিয়ালদহ স্টেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম বন্ধ থাকার কথা। এমনকি কিছু লোকাল ট্রেনও বাতিল হওয়ার কথা। তাই যাত্রীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বারবার শিয়ালদহ শাখায় এইরকম ভোগান্তি হচ্ছে? কয়েকমাস আগেই দমদম স্টেশনে ইন্টারলকিং-এর কাজের জন্য প্রায় দুদিন ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল শিয়ালদহ মেইন এবং বনগাঁ শাখায়। তারপর আবার এখন।
অন্যদিকে, রেলের তরফে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জানাতে পারেননি যে, কোন কোন ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে এবং কোন কোন ট্রেনের যাত্রাপথ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে তিনি জানান, “মাত্র পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ রাখা হবে। আমরা ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত চালু রেখেছি। যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে, বুঝতে পারছি। তবে অতিরিক্ত মেট্রো আমরা চালাচ্ছি। যে সব ট্রেন শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ছাড়ছে, সবকটিই ১২ বগির। সবাইকে একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি। রেল সব সময় যাত্রীদের পাশে আছে।”
কিন্তু এরই মাঝে ট্রেনে ভিড়ের চাপে চলে গেল তরতাজা একটি প্রাণ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।