
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নদিয়ার শান্তিপুর এলাকার হরিহরপুর পঞ্চায়েত। জমা জলের যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। পোকামাকড়় থেকে সাপের আতঙ্কে ত্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ। গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকার। সেই জল পাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নিকাশী ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
রাতভর একটানা বৃষ্টিতে পুকুরের জল উপচে জলমগ্ন গোটা এলাকা। দূষিত জলের মধ্যে দিয়ে হাঁটাচলা করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। জলের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিষাক্ত পোকামাকড়, বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে বসবাসকারীদের। জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নদীয়ার শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নৃসিংহপুর উত্তর কলোনী এলাকার ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, আষাঢ় মাসের শুরু থেকে একটানা বৃষ্টি চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টির তীব্রতা আরও বেড়ে যায়,মধ্যরাত থেকে সংলগ্ন একটি পুকুরের জল উপছে ঢুকতে শুরু করে গোটা এলাকায়।
জলমগ্ন পরিস্থিতি হয় রাস্তাঘাট সহ বেশ কয়েকটি বাড়ি। দূষিত জলের মধ্যে দিয়েই জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাদের। অভিযোগ এই জল দীর্ঘ সময় থাকলে আরও দূষিত পরিণত হবে, ৮ থেকে ৮০ প্রত্যেকেই ভুগছেন জল যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে। এর আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল এই এলাকায়। প্রশ্ন উঠেছিল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে, কিন্তু হেলদোল নেই প্রশাসনের। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা চাইছেন অবিলম্বে নিকাশি ব্যবস্থার কাজ দ্রুত হোক, না হলে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়বে এই দূষিত জলের কারণে।
সব থেকে বড় বিষয়, জলের মধ্যে যেভাবে বিষাক্ত পোকামাকড় ঘুরে বেড়াচ্ছে যখন তখন সাপের কামড়ে আক্রান্ত হতে পারে এলাকার মানুষ। এই নিয়ে, শুক্রবার ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার মহিলারা। তবে এ প্রসঙ্গে হরিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বীরেন মাহাতোর দাবি, বিষয়টি তিনি নজরে রেখেছেন অবিলম্বে অত্যাধুনিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে জল নিকাশির কাজ শুরু করবেন তিনি। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেত্রী শিলা হালদারের দাবি, এটা প্রথম নয় একাধিকবার ওই এলাকা জলমগ্ন পরিস্থিতি হয়, জল যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করতে হয় শতাধিক পরিবারকে। কেন প্রশাসনের এত উদাসীনতা। ওই এলাকার জল যন্ত্রণা মুক্ত করার একটাই উপায় সঠিকভাবে নিকাশি ব্যবস্থা। না হলে কোনদিনই এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে না ওই এলাকার মানুষ। এখন দেখার পঞ্চায়েতের তৎপরতায় কত দ্রুততার সাথে এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়।