সংক্ষিপ্ত
বঙ্গ বিজেপির চরম সংকট আজ, ফল প্রকাশের দিন। কারণ রাজ্যের প্রাক্তন ও বর্তমান সভাপতি পিছিয়ে রয়েছেন ।
বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পরই রাজ্যে বিজেপির মুখ হিসেবে উঠে এসেছিলেন। অমিত শাহ তাঁকে যথেষ্ট গুরুত্বও দিতেন। শুভেন্দু অধিকারীর ওপর বিশেষ আস্থাও রেখেছিলেন। বিজেরি অন্দরে খবর, কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের থেকেও শুভেন্দুর মতামতকেই বেশি গুরুত্ব দিতেন তিনি। কিন্তু চলতি নির্বাচনে এই রাজ্যে ধস নেমেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যেখানে ১৮টি আসন পেয়েছিল এবার সেখানে ১০র বেশি আসন পেতে কালঘাম ছুটছে বিজেপির। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে।
বঙ্গ বিজেপির চরম সংকট আজ, ফল প্রকাশের দিন। কারণ রাজ্যের প্রাক্তন ও বর্তমান সভাপতি পিছিয়ে রয়েছেন । হরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। রাজনীতিতে আনকোরা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের কাছে হারতে পারেন তিনি। বিজেপির একাধিক স্টার প্রার্থীও হারের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের এই ধাক্কা আঘাত করতে পারে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে। বিজেপি সূত্রের খবর , শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এবার আওয়াজ উঠেছে দলের অন্দরেই। দিলীপ ঘোষের পিছিয়ে পড়া মেনে নিতে পারেনি তাঁর অনুগামীরা। বিজেপি সূত্রের খবর শুভেন্দুর ইচ্ছেতেই দিলীপের আসন পরিবর্তন করা হয়েছে। মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে তাঁকে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে। শুভেন্দুর পরিকল্পনাতেই অগ্নিমিত্রা পল এসেছেন মেদিনীপুর কেন্দ্রে। কিন্তু মেদিনীপুরেও মুখ রক্ষা হয়নি বিজেপির। এই অবস্থায় তাঁকে শুভেন্দুর নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে ২০১৯ সালে বিজেপির লিড ছিল মাত্র আড়াই হাজার। সেখানে মেদিনীপুর থেকে দিলীপ ঘোষ জমিতেছিলেন ৮৯ হাজার ভোটে। তাই তাঁকে সরানো ঠিক হয়নি বলেও অনুমান দলের একাংশের।
রাজ্য বিজেপির সবথেকে সফল সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সূত্রের খবর দিলীপের জনপ্রিয়তা কমাতেই তাঁকে ধীরে ধীরে কোনঠাসা করেছেন শুভেন্দু। যে কারণে দলের বিপর্যয়। তবে এখনও বিজেপি এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। লোকসভার ফল প্রকাশের পরে যেমন কালীঘাটে সেলিব্রেশন শুরু হয়েছে তেমনই কিছুটা হলেও নিস্প্রভ রাজ্য বিজেপি সদর কার্যালয়।