সন্দেশখালি আবহে দেশের নজর বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের ওপর। যুযুধান রেখা পাত্র-নুরুল ইসলামের লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে তৈরি দেশ।
সন্দেশখালি আর শেখ শাহজাহান-রাজ্য রাজনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে জায়গা করে নিয়ে দেশের রাজনীতিতে। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শাহজাহানেরর বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানা দেওয়ার ঘটনা থেকে মহিলাদের ওপর হওয়া যৌন নির্যাতন সুন্দরবন এলাকার প্রত্যন্ত দ্বীপকেও তুলে এনেছে সংবাদ শিরোনামে। লোকসভা ভোটের আবহেও সেই সন্দেশখালি গুরুত্ব বাড়িয়ে গিয়েছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের। এই আসনটি দখল করার জন্য মরিয়া বিজেপি। অন্যদিকে এই আসনই প্রেস্টিজ ইস্যু তৃণমূল কংগ্রেসের।
গতবার এই কেন্দ্র থেকে প্রচুর ভোটে জয়ী হয়েছিলেন নুসরত জাহান। বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী। সাংসদ হওয়ার পরই বিয়ে করেন। পাঁচ বছরের মধ্যে বিয়ে থেকে অন্য সম্পর্কে যাওয়া - সন্তান- সব কিছু নিয়েই বিতর্কে পড়েন নুসরত। দলের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ কমছিল। পাশাপাশি জালিয়াতি মামলাতেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল। এই অবস্থায় নুসরতকে আর প্রার্থী করা হবে না- ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করে হাজি শেখ নুরুল ইসলাম। পাল্টা প্রার্থী বিজেপির রেখা পাত্র।
Mamata Banerjee: 'তৃণমূলের আপদ বিজেপির সম্পদ', কোচবিহার থেকে বিজেপিকে চড়া সুরে আক্রমণ মমতার
রেখা পাত্র, রাজনীতিতে আনকোরা। কিন্তু সন্দেশখালির বাসিন্দা। শাহজাহানের অত্যাচারের শিকার বলেও দাবি করেন। বিজেপি সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। সবমিলিয়ে রাজনীতিতে আনকোরা হলেও হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবেই এখন পরিচিত রেখা পাত্র।
Lok Sabha Election : রচনা-লকেটের 'সাপে-নেউলে' সম্পর্কে হটসিট হুগলি, লড়়াই হবে ত্রিমুখী
অন্যদিকে বসিরহাটের ভূমিপুত্র হাজি শেখ নুরুল ইসলাম। এর আগে ২০০৯ সালে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। বসিরহাট কেন্দ্রকে হাতের তালুর মত চেনেন। মুসিলম ভোটই নিশ্চিত। সন্দেশখালি ড্যামেজ কন্ট্রোলে তাঁর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন মমতা।
PM Modi: 'সন্দেশখালির জন্য তৃণমূলকে ভুগতে হবে', কোচবিহার থেকে মমতাকে আক্রমণ মোদীর
অন্যদিকে এই কেন্দ্রে এখনও বামেরা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে আইএসএফ আখতার আলি বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছে। তব এই কেন্দ্রটি একটা সময় বামেদের ঘাঁটি ছিল। ১৯৮০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্র ছিলি সিপিআই (এম) এর দখলে। বামেদের হটিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন হাজি শেখ নুরুল ইসলাম। এবার তিনি পারবেন মমতার মান রক্ষা করতে সেটাই প্রশ্ন।