সংক্ষিপ্ত
মমতা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এজেন্সির ব্যবহার নিয়ে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করার চেষ্টা করছে বিজেপি। তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে মাথা নত না করতেও পরামর্শ দিয়েছেন।
কোচবিহারের জনসভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরাসরি আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বৃহস্পতিবারের জনসভা থেকে মমতা বলেন, মোদী এই জেলায় সভা করতে আসবেন এদিন। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে হবে একশো দিনের টাকা কী হল? আবাস যোজনার টাকা কোথায় গেল? তিনি জনসভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানা করেন।
এদিন মমতা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এজেন্সির ব্যবহার নিয়ে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করার চেষ্টা করছে বিজেপি। তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে মাথা নত না করতেও পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিজেপি ভয় দেখালেই যেন স্থানীয়রা থানায় গিয়ে ডায়েরি করেন। তিনি বলেন, 'কোনও থানা যদি অভিযোগ না নেয় তাহলে আমায় সরাসরি জানাবেন। আমি দেখে নেব।'
এদিন মমতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটা আমাদের। বিজেপির লজ্জা নেই। নিজের বলে দাবি করছে। ওরা আমাদের প্রকল্প অন্য রাজ্যে চালু করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারেনি। পারবেও না। ওরা ৪০ শতাংশ মা বোনকে দেবে। আমরা ১০০ শতাংশকে দিচ্ছি।' তবে প্রধানমন্ত্রীর কৃষ্ণনদরের বিজেপির প্রার্থী অমৃতা রায়কে দেওয়া কথার প্রসঙ্গও এদিন কোচবিহার থেকে কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন 'ওরা ইডি-র টাকা জনতাকে দেবে বলেছে। ইডি যে টাকা সিজ করেছে তা যদি দেওয়া হয় তাহলে বাংলাক মানুষ ২১ টাকা করে পাবে। ২১ টাকা চাই বাংলাকে বাঁচানো চাই!' তিনি আরও বলেন, বাংলার ক্ষমতা অনেক।
মমতা কোচবিহারের মঞ্চ থেকে বিরোধীদেরও আক্রমণ করেন। তিনি শুভেন্দুর নাম না করে নিশানা করেন। তিনি বলেন, 'একজন বাবু আছে। আমরা জল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমাদের দলে ছিল আপদ। আর এখন বিজেপিতে গিয়ে হয়েছে সম্পদ। তোমার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আছে তা বলে দেব? সমস্ত কেশ বলে দেবে।' নওশাদ সিদ্দিকেও নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, মুসলিমদের একটি নতুন দল হয়েছে । ওরা বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করার কাজ করে। যেটা হায়দরাবাদের মিম করে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি যেদিন থেকে দিল্লির ক্ষমতায় এসেছে সেদিন থেকেই অত্যাচার চালাচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে এখনও তৃণমূলকে নিশানা করে যাচ্ছে বিজেপি। তিনি আরও বলেন বিজেপি হুলিগানিজম চালাচ্ছে। মমতা বলেন তিনি ও তাঁর দল দুঃসময় মানুষের পাশে থাকে। আর বিজেপি সুসময় থাকে। সুখের দিনের অতিথির সঙ্গেও তুলনা করেন বিজেপির।