
Malda News: পরিযায়ী শ্রমিককে আটকে রেখে মুক্তিপণ চেয়ে প্রাননাশের হুমকি। হুমকি ফোন পেয়ে আতঙ্কে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে মালদহের চাঁচল থানার কলিগ্রামে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, দুই মাসের দাদন চুক্তিতে দিল্লিতে রাজমিস্ত্রির কাজে যান কলিগ্রাম ইমামবাড়ার যুবক নুর আলম।
আরও জানা গিয়েছে যে, কলিগ্রামরের প্রাণসাগর এলাকার ঠিকাদার পিয়ার মোহাম্মদের সঙ্গে কাজে। দাদন চুক্তি শেষ হলেও বাড়ি ফেরিনি নুরআলম। অভিযোগ, মঙ্গলবার হঠাৎই একটি অপরিচিত নম্বর থেকে নুর আলমের স্ত্রীর কাছে মুক্তি পণ চেয়ে ফোন আসে। পরিবার জানায়, ফোনে এক যুবক বলেন, দুই লক্ষ টাকা না দিলে নুর আলমকে ছাড়া হবেনা।তার জন্য প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে। টাকা না দিলে পরিযায়ী শ্রমিককে প্রাননাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে ওই পরিযায়ী পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, এলাকার পিয়ার মোহাম্মদের মারফতে কাজে যান নুরআলম। সেই চাঁচল এলাকা থেকে ভিনরাজ্যে শ্রমিক সরবরাহ করে। কিন্তু হুমকি ও মুক্তিপণের ফোন পেয়ে পিয়ারের বাড়িতে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনও সন্ধান দিতে পারেনি তার পরিবার। এমনকি পিয়ারের মোবাইলও বন্ধ রয়েছে। নুর আলমের স্ত্রীর দাবি, পিয়ার মোহাম্মদ হয়তো ঠিকাদারের টাকা আত্মসাৎ করে চম্পট দিয়েছে। কিন্তু একই এলাকার হওয়ায় নুরআলমকে আটকে রেখেছে।
অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নম্বর ট্রু কলারে কনভার্ট করে পরিবার জানতে পারে-ফোন আসা ওই যুবকের নাম ইন্তাজ শেখ।তাদের আশঙ্কা সেই ব্যক্তি মূল ঠিকাদার। সে কালিয়াচকে বাসিন্দা হতে পারে। সেই আটকে রেখেছে। আটক পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী সাহাজাদি খাতুন বলেন, ‘’আমার স্বামী তো রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিল। রাতে হঠাৎ অচেনা ফোন থেকে মুক্তিপণের দাবি করে। দুই লাখ টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।দুই নাবালক ছেলেকে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। বিষয়টি নিয়ে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ আমার স্বামীর কিনারা করুক।'' এই বিষয়ে চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে,অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।