অনুব্রতর গড়ে হাল ধরতে যাচ্ছেন স্বয়ং মমতা, জানুয়ারি মাসেই বীরভূমে তৃণমূলনেত্রীর আবির্ভাব

বীরভূমে অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে ‘সূচাগ্র মেদিনী’ ছাড়তে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। ফলত, দলের হয়ে ব্যাটন তুলে নিয়েছেন দলনেত্রী নিজেই। 

Web Desk - ANB | Published : Jan 13, 2023 1:48 AM IST

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট না হলেও, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট তৎপর হয়ে পড়েছে শাসক, বিরোধী, সব পক্ষই। নিজের এলাকায় সাধারণ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত দলীয় নেতৃত্বদের। তার পাশাপাশি, প্রচার কৌশলের ছকও ইতিমধ্যেই প্রায় তৈরি করে ফেলেছে শাসক দল তৃণমূল।

রাজনৈতিক শিবিরের খবর অনুযায়ী, চলতি জানুয়ারি মাসের শেষের দিকেই বীরভূম জেলায় পা রাখতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ জানুয়ারি বীরভূমে যাওয়ার কথা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। ৩১ জানুয়ারি বীরভূমে প্রশাসনিক সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। প্রশাসনিক সভা শেষ করে আঞ্চলিক একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা আছে মুখ্যমন্ত্রীর। তবে, ওই সময় সেখানে রাজনৈতিক সভা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

বীরভূম জেলার দেউচা-পাচামি কয়লা খনি প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসের এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের জন্য আগ্রহী জমি দাতাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন। পাশাপাশি, শিল্প নিয়েও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর অবর্তমানেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনুব্রতহীন বীরভূমে কড়া নজর রেখেছে বিরোধী দল বিজেপি। ভিত মজবুত থাকা গড়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে শাসকদল। জেলার এই বৈঠকে তৃণমূলের নেতাদের একজোট হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিতে পারেন স্বয়ং দলের সুপ্রিমো। যদিও এই সফরের প্রধান লক্ষ্যকেন্দ্র হয়ে রয়েচে দেউচা-পাচামি প্রকল্পই।

বাংলার প্রতিটি জেলায় জেলায় জনসংযোগের কাজে নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। তৃণমূলের হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই কাজে অংশ নিতে চাইছেন প্রচারকাজের গোড়া থেকেই৷ বীরভূমে অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে ‘সূচাগ্র মেদিনী’ ছাড়তে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। ফলত, দলের হয়ে ব্যাটন তুলে নিয়েছেন দলনেত্রী নিজেই। তাঁর উপস্থিতির ফলে ঘাসফুলের শক্ত ঘাঁটির জোর আরও কতটা মজবুত হয়, তা এখন সময়ের অপেক্ষা।

আরও পড়ুন-
‘এলিতেলি গঙ্গারাম!’ কুণাল ঘোষ সম্পর্কে কটাক্ষ মিঠুন চক্রবর্তীর, দেবের বিষয়ে ‘ব্যক্তিগত রাজনীতি’-র বিরোধীতা
তৃণমূল নেতাদের কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার নিদান দিলেন দিলীপ ঘোষ

Share this article
click me!