সংক্ষিপ্ত

ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি মনোনয়ন করা নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, ত্রিপুরা একটা সন্ত্রাসমুক্ত রাজ্য। ৫ বছরে কোনও রাজনৈতিক হিংসা হয়নি।” 

বিজেপির হয়ে ত্রিপুরায় প্রচারে অংশ নিলেন বিখ্যাত অভিনেতা তথা বিজেপির জনপ্রিয় প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গে তাঁর ‘প্রজাপতি’ সিনেমাটি নিয়ে যথেষ্ট রাজনৈতিক টানাপোড়েন ঘটেছে, শাসকদল তৃণমূলের মদতেই এই সিনেমাটিকে কলকাতার ‘নন্দন’ হলে জায়গা দেওয়া হয়নি বলে মনে করেছেন বিরোধীরা। তাঁর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, রাজ্যের শাসক পক্ষই মিঠুন চক্রবর্তীকে রাষ্ট্রের সম্মানজনক ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল। সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরায় দাঁড়িয়ে জোর কটাক্ষ করলেন মিঠুন।

কুণালের মন্তব্য প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী সাংবাদিককে স্পষ্ট বলেন, “এসব এলিতেলি গঙ্গারাম! কাদের নিয়ে প্রশ্ন করছ! হঠাও এসব।” পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের মুখপাত্রের প্রতি তাঁর যেমন অবজ্ঞা, তেমনই অন্যদিকে শাসক দলের আরেক নেতা তথা সাংসদের প্রতি দেখা গেল তাঁর চাপা সমর্থন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা জনপ্রিয় অভিনেতা দেবের সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘শাসক দলের চাপের কারণেই দেব নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করতে বাধ্য হয়েছেন’। এই প্রসঙ্গে মত প্রকাশ করতে গেলে মিঠুন চক্রবর্তীর ক্ষেত্রে দেখা যায় উভয় দিক থেকেই বিরোধিতা বাঁচিয়ে চলার তাগিদ। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগত রাজনীতি করি না। আমাদের দিলীপদা আমার কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। উনি যা বলেছেন , তা ওনার কথা। আমি কিন্তু ব্যক্তিগত রাজনীতি করি না। আমি মানুষের রাজনীতি করি। মানুষের কথা বলুন, আমি সব বলব।”

ত্রিপুরায় আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপির আনুমানিক ফলাফল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মিঠুন চক্রবর্তী কার্যত বিগত কয়েক বছরে বিজেপির শাসনকালে হওয়া উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্য, “ত্রিপুরায় যা হয়েছে, তা এখন উপভোগ করুন।” এর পাশাপাশি ত্রিপুরার প্রাক্তন শাসকদলের উদ্দেশ্যে খোঁচা দিয়ে তাঁর বক্তব্য, “এই এতখানি অগ্রগতি কবে হয়েছে, বলুন।”

ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি মনোনয়ন করা নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “এটা গণতান্ত্রিক দেশ। প্রতিনিধি দেওয়ার ক্ষেত্রে সকলেই স্বাগত। তবে, এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, ত্রিপুরা একটা সন্ত্রাসমুক্ত রাজ্য। ৫ বছরে কোনও রাজনৈতিক হিংসা হয়নি। এটা বিশাল বড় বিষয়। এখানে সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন হবে, এটাই সবথেকে বড় কথা।”

আরও পড়ুন-
তৃণমূল নেতাদের কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার নিদান দিলেন দিলীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রামের সভামঞ্চে বিতর্কিত মন্তব্য
আমি ক্ষমতায় না এলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসবে না: তৃণমূলের অন্দরে বিতর্কিত মন্তব্য গুলশন মল্লিকের
বঙ্গে চালু হল ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি, সর্ব স্তরের মানুষের সাথে যোগাযোগের বিশেষ পদক্ষেপ