আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। এই দিনই নবান্নে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত দফতরের প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল গোটা রাজ্য। কোনও পাতাকা ছাড়াই রাজ্যবসী আরজি কর -কাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে নেমে আন্দোলন করছে। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা প্রশাসনিক বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল।
৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার বেরা ১টায় নবান্ন সভাঘরে হবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। প্রত্যেক দফতরের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিজি ও এডিজি পদমর্যাদার আধিকারিকদের। কলকাতার পুিশ কমিশনারকও বৈঠকে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে।
লোকসভা নির্বাচনের পর এটাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক। সব দফতরের মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্তাদের হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরের দিন অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নবান্নেই হবে মমতার মন্ত্রিসভার বৈঠক।
আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল গোটা রাজ্য। নিত্যদিনই বিক্ষোভ অবস্থান চলছে। এর আগে রাজনৈতিক পাতাকা ছাড়া এতবড় আন্দোলন হয়নি। আরজি কর ইস্যুতে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিপি বিনীত কুমার গোয়েলের পদত্যাগের দাবি উঠছে সর্বত্র। আরজি আন্দোলন রাজ্যের সীমানা ছড়িয়ে দেশ ও বিদেশেও পৌঁছে গেছে। দিল্লি মুম্বইয়ের মতই নিউইয়র্কের টাইমস্কোয়ারে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।