কৃষ্ণনগরের জনসভা মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে। তিনি বলেন, মহুয়া লোকসভায় স্পষ্ট কথা বলে, তথ্য প্রমান দিয়ে কথা বলে, সেই কারণেই তাঁকে লোকসভা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এর প্রচার শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধুবুলিয়ার নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি সরসারি নিশানা করেন রাজ্যে তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ বিজেপিকে। তবে বাম বা কংগ্রেসকেও ছেড়ে কথা বললেন না মমতা। তাঁর কথায় এই রাজ্যে কোনও জোট হয়নি। বাম বা কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থই হল নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধে করে দেওয়া। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের হয়েই নির্বাচনী প্রচার করেন মমতা। সেখানে সিএএ থেকে শুরু করে ইডি সিবিআই সহ একাধিক প্রসঙ্গ ওঠে। পাশাপাশি মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ নিয়েও কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করেন। তিনি বলেন মহুয়া মুখ খোলে সেই কারণেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। জিতে যোগ্য জবাব দেবে তৃণমূল প্রার্থী- তেমনই আশা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
কৃষ্ণনগরের জনসভা মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে। তিনি বলেন, মহুয়া লোকসভায় স্পষ্ট কথা বলে, তথ্য প্রমান দিয়ে কথা বলে, সেই কারণেই তাঁকে লোকসভা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলে বলেও মহুয়াকে শাস্তি দেওযা হয়েছে। তিনি তারপরই লোকসভা নির্বাচনে মহুয়ার জয় নিয়ে আশা প্রকাশ করেন। বলেন মহুয়াকে একালার মানুষ জিতিয়ে যোগ্য জবাব দেবেন। এটাই লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম দলীয় জনসভা। এই জনসভা থেকেই মমতা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন এই রাজ্যে কোনও জোট হয়নি। তিনি ইন্ডিয়া জোটের সদস্য বলেও দাবি করেও বলেন এই রাজ্যে যা হয়েছে সেটা ঘোঁট হয়েছে। তিনি বলেন, কেরলে বাম আর কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আর এই রাজ্যে তারা একসঙ্গে লড়ছে। তিনি বলেন সিপিএম বা কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থ বিজেপিকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া। তিনি আরও বলেন, ইন্ডিয়া জোটের নাম তাঁরই দেওয়া , কিন্তু এই রাজ্যে জোট হয়নি। তারপরই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেন, 'ভোটের পরে আমি ওটা বুঝে নেব। '
BJP Candidate: আরও দুই কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, এখনও বাকি ডায়মন্ডহারবার ও আসানসোল
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করেন সিএএ ইস্যুতে। তিনি বলেন, 'ভোটের মুখে বাবুরা হঠাৎ সিএএ চালু করলেন। এটা ঠিক নয়।' তিনি কারও নাগরিকত্ব কাড়তে দেবেন না। সিএএ হল মাথা, আর ল্যাজা হল এনআরসি। সিএএ করলেই এনআরসিতে পড়তে হবে। তাতে নাগরিকত্ব যেতে পারে। তিনি বিজেপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, বিজেপি নেতারা কেন সিএএতে আবেজন জানাচ্ছেন না। কারণ তারা জানেন আবেদন করলেই বিদেশি হয়ে যেতে হবে। ভোটের মুখে ইডি আর সিবিআই-এর তৎপরতা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ভোটে জয় যদি নিশ্চিত থাকত তাহলে বাংলায় ইডি সিবিআই-এর মত সংস্থাগুলিকে বিজেপি পাঠাত না। পাশাপশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়েও কেন্দ্রের শাসক দলের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আটকে রাখলেও তাঁর কাজ বন্ধ করে দিতে পারেনি বিজেপি। তিনি বলেন, ভোটের মুখে এজাতীয় কার্যকলাপ স্পষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি বিরোধীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়ালেও কংগ্রেসের আয়কর নোটিশ প্রসঙ্গে পুরোপুরি চুপ ছিলেন মমতা। এই বিষয়ে একটিও কথা বলেননি।
এদিন নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চিরস্থায়ী । ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলারা এই সুবিধে ভোগ করতে পারবে। পরিযাসী শ্রমিকদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থার কথাও বলেন তিনি। তিনি বলেন, যারা বাইরে কাজের জন্য যায় তারা সেই কার্ডের সুবিধে নিতে পারবে।