সংক্ষিপ্ত
প্রচারে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, 'বিজেপি আমার প্রতি এত আকৃষ্ট', ওরা আমার কাছে বারবার আসবে। সিবিআই এসে খালি হাতে ঘুরে গেছ, আমার এটা খুব ভাল লাগছে।'
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলব এড়িয়ে প্রচারে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। তবে এখানেই শেষ নয়, প্রচারে বেরিয়ে একহাত নিলেন শাসক দল বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে। তিনি কছুটা কটাক্ষের সুরে বলেন, তিনি বলেন বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সংস্থা যে তাঁকে খুব পছন্দ করে। এটা তাঁর খুবই ভাল লেগেছে। এদিন মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া লাগোয়ো গোবিন্দপুর, নয়াচর, বাদালেপাড়া, চৌধুরীপাড়া এলাকায়। সেখানে দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। পাশাপাশি তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যাগুলি বোঝার চেষ্টা করেন।
এদিন প্রচারে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, 'বিজেপি আমার প্রতি এত আকৃষ্ট', ওরা আমার কাছে বারবার আসবে। সিবিআই এসে খালি হাতে ঘুরে গেছ, আমার এটা খুব ভাল লাগছে।' তিনি এখানেই থামেননি। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে টেনে আসেন। বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী আসবে, আমিত শাহ আসবে। কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া খাবে, চলে যাবে। ইডির বিরুদ্ধে হলফনমা দিয়ে আমি দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম যে ইডি লিক করছে!' নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তিও দেন মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, দিল্লি হাইকোর্টে ইডি হলফনামা দিয়ে বলেছিল, তারা কাউকে কিছুই বলেনি। তারপরই তিনি সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ইডি যে তাঁকে তলব করেছে সেটা তারা জানল কি করে। তারপরই তিনি বলেন, 'আপনাদের কে খবর দিয়েছে আমি জানি না।'
Lok Sabha Elections: অভিষেকের বিরুদ্ধে কে? রাজ্যের চার আসনের প্রার্থী বাছতে নাজেহাল বিজেপি নেতারা
মহুয়া এদিন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি দিনভর কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রচারে ব্যস্ত থাকবে। তাই সেই কারণেই তিনি ইডির অফিসে হাজিরা দিতে পারবে না। এনফোর্সনেন্ট ডিরেক্টরেট একটি ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (FEMA) লঙ্ঘনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহুয়া মৈত্রকে তলব করেছিল। তাঁর সঙ্গে তলব করা হয়েছিল দর্শন হিরানন্দানিকে। তাদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরার কথা ছিল ইডির। এর আগে ৪৯ বছরের মহুয়াকে আরও দুইবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ক্যাস ওন কোয়ারি মামলার তদন্ত চলছে। ঘুসের বিনিময় সংসদে প্রশ্ন করছিল তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। এই অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। যার কারণে তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। যদিও মহুয়া মৈত্র এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি অস্বীকার করেছেন।