বিজপি ক্ষমতায় আছে বলে গায়ের জোরে জেলাশাসক বদলেছিল, পুলিশ সুপার বদলে ছিল। আইসি বদলেছিল। আর ভোট হয়ে যাওয়ার পরে লোডশেডিং করে দিয়ে রেজাল্ট পাল্টে দিয়েছিল।
এবার আর বদল নয় , সরাসরি বদলার কথা শোনা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গলায়। নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েই তৃণমূল নেত্রীর হুংকার নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটে হারের বদলা তিনি নেবেনই। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হটসিট হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছিল নন্দীগ্রাম। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন মমতা। আর প্রতিপক্ষ বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনে লোডসেডিং করে ভোট গণনায় কারচুপি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ মমতার। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
যাইহোক বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, 'বিজপি ক্ষমতায় আছে বলে গায়ের জোরে জেলাশাসক বদলেছিল, পুলিশ সুপার বদলে ছিল। আইসি বদলেছিল। আর ভোট হয়ে যাওয়ার পরে লোডশেডিং করে দিয়ে রেজাল্ট পাল্টে দিয়েছিল। আম আজ না হয় কাল এর বগলা নেবই। কী ভাবে নেব, কেমন করে নেব, সেটা আগামী দিনে পথ দেখাবে।' নন্দিগ্রামে যে ফলাফল হয়েছিল তা নন্দীগ্রামের মানুষের রায় ছিল না বলেও দাবি করেন মমতা।
এদিন নির্বাচনী প্রচারে নন্দীগ্রামের স্মৃতি উস্কে দেন মমতা। তিনি নন্দিগ্রামকাণ্ডের জন্য নাম না করে নিশানা করেন শিরির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রাম লড়াইয়ের সময় বাপব্যাটা কোথায় ছিলেন? ১৫ দিন বাড়ি থেকে ভয়ে বের হয়নি। আমি এখনও চ্যালেঞ্জ করে বলেছি সিপিএমএর সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে আপনারা নন্দীগ্রাম গণহত্যা ঘটিয়েছিলেন। একদিন না একদিন তা প্রমাণ হবে। ' তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যখন তৈরি করেন তখনও শিশির অধিকারীরা তৃণমূলের অংশ ছিল না। ওরা কখন কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী লড়াই করতে। সেই সময় নন্দীগ্রামের প্রার্থী ছিল অখিল গিরি। কাঁথির রাজনীতিতে অধিকারীরা বরাবরই ফ্যাক্টর। অখিল গিরির সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর একটা দূরত্ব বরাবরই ছিল। যাইহোক নির্বাচনী প্রচারে মমতা বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগও করেছেন।