গত বৃহস্পতিবার রাতে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের করপল্লিতে পালিত হয় শহিদ দিবস। পৃথকভাবেই শহিদ দিবস পালন করে দুই বিরোধী দল বিজেপি ও তৃণমূল। গোল বাধে সেইদিন রাতে। মাঝরাতে আগুন ধরে যায় তৃণমূলের শহিদ মঞ্চে।
'মেরে শুভেন্দুর হাত, পাঁজর ভেঙে দেব', হুঙ্কার মন্ত্রী অখিল গিরির। নন্দীগ্রামে গিয়ে বিরোধী দলনেতাকে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। জেলার কোথাও অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলে যে তাঁরা চুপচাপ থাকবেন না সে বিষয়ও স্পষ্ট করলেন কারামন্ত্রী। পাল্টা জবাব এসেছে বিরোধী শিবির থেকেও।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের করপল্লিতে পালিত হয় শহিদ দিবস। পৃথকভাবেই শহিদ দিবস পালন করে দুই বিরোধী দল বিজেপি ও তৃণমূল। গোল বাধে সেইদিন রাতে। মাঝরাতে আগুন ধরে যায় তৃণমূলের শহিদ মঞ্চে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত করে ওঠে গোটা এলাকা। গোকুলনগরে পথ অবরোধও করে তৃণমূল। খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা, প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মন্ত্রী অখিল গিরি-সহ অন্য নেতারা।
নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্য সভায় শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। বিরোধী দলনেতাকে তোপ দেগে তিনি বলেন,'শুভেন্দু কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে খুব বাড়াবাড়ি করছে। মেরে ওর হাত ভেঙে দেব। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না বলে আমি চুপ আছি। না হলে ওর পাঁজর ভেঙে দিতাম। চুপ করে থাকি বলে সব সময় চুপ থাকব না। দলকে বাঁচাতে সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব।'
অখিলের হুঁশিয়ারির জবাবে বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন,'শুভেন্দুবাবুর জনসভা দেখে ভয় পেয়ে প্রলাপ বকছেন হাফপ্যান্ট মন্ত্রী।ওঁরা পুলিশ নির্ভর রাজনীতি করেন। পুলিশকে বাদ দিয়ে রাজনীতি করুন, আমরা জবাব দেব।'