শুক্রবার গোরু পাচার মামলার শুনানিতে ফের জামিনের আর্জি পেশ করেন অনুব্রত মণ্ডল। কেষ্টর জামিনের বিরোধিতায় ফের তাঁর 'প্রভাবশালি' হওয়ার কথা তোলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা।
অনুব্রতর জামিনের বিরোধীতায় আদালতে সিবিআই-এর হাতিয়ার হল ফিরহাদের মন্তব্যই, মেয়রের 'বাঘ'মন্তব্যের উল্লেখ করে ফের একবার 'প্রভাবশালী' তত্ত্বে অনড় থাকল তদন্তকারী সংস্থা। যার জেরে ফের একবার জামিন খারিজ হল অনুব্রতর। আরও ১৪ দিন জেলেই কাটবে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার দিন।
শুক্রবার গোরু পাচার মামলার শুনানিতে ফের জামিনের আর্জি পেশ করেন অনুব্রত মণ্ডল। কেষ্টর জামিনের বিরোধিতায় ফের তাঁর 'প্রভাবশালি' হওয়ার কথা তোলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। নিজেদের যুক্তিকে আরও পোক্ত করতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের উক্তি উল্লেখ করেন তাঁরা। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয় ফিরহাদ হাকিম নিজেই স্পষ্ট করেছেন অনুব্রত মণ্ডল ঠিক কতটা প্রভাবশালী। এরপরই আরও একবার কেষ্টর জামিনের আর্জি খারিজ করল আসানসোল আদালত। আপাতত আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে কেষ্ট।
সম্প্রতি বীরভূমে একটি সভায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন 'অনুব্রত বাঘ। বেশিদিন অনুব্রতকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা যাবে না ।' এবার ববির এই মন্তব্যকেই তুরূপের তাস হিসেবে ব্যবহার করল সিবিআই।
সম্প্রতি, গোরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে নতুন করে এক সূত্র খুঁজে পেল সিবিআই। এবার কেষ্ট-কন্যার নামেও লটারির টিকিটের হদিশ। একবার নয়, দু'বার লটারির টাকা ঢুকেছে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে। মোট টাকার পরিমাণ ৫১ লাখ। এর আগেও ২০১৯ সালে লটারির পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ টাকা ঢুকেছিল অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে। তবে কি গোরুপাচারের টাকার রংবদল করতেই এই লটারির ব্যবস্থা? ক্রমশ আরও জোড়ালো হচ্ছে সন্দেহ। কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আর কারও নামে লটারির টিকিট কেনা হয়েছিল কিনা সেবিষয়ও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
গত সপ্তাহতেই বোলপুরের লটারি দোকানে অভিযান চালিয়ে অনুব্রতর লটারি সংক্রান্ত সমস্ত নথি নিয়ে বোলপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয় তদন্তকারী সংস্থা। বিকেলের মধ্যেই নথি নিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে পৌঁছয় লটারির টিকিট বিক্রেতা এবং তাঁর দোকানের কর্মীরা। সেখানেই বিক্রেতা জানান, অনুব্রত মণ্ডলকে টিকিট বিক্রি করেননি তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই লটারি সংস্থার ওয়েবসাইটে এক কোটি টাকার বিজেতা হিসেবে নাম উঠে আসে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। কেষ্টর লটারি জেতা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হলেও হেয়ালি কাটেনি। এরপর ফের একবার কোটি টাকার লটারি জেতেন তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিরা গুপ্ত। এরপরই ডিয়ার লটারি প্রসঙ্গে তোপ দেগেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কথায় 'ডিয়ার লটারি আদতে ভাইপো লটারি।' ঘটনার পরই সিবিআই-এর সন্দেহের তালিকায় আগে এই লটারি সংস্থা। জোরকদমে শুরু হয় তদন্তও।
আরও পড়ুন -
কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে আরও লটারির হদিশ, জিতেছিলেন ৫০ লক্ষ টাকা
রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগ 'বাংলার শাড়ি' , প্রতিটি জেলায় আউটলেট খুলতে নির্দেশ মমতার