
Minkashi Mukherjee: সিপিএম নেত্রী কি অনেকের মনের কথাই বলে দিয়েছেন? সোশ্যাল মিডিয়াতে এইরকমই হাজারো মন্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার অনেকে বিরোধিতাও করছেন। এই বিষয়টা নিয়ে চর্চা সিপিএম-এর অন্দরেও।
আসলে গত ২৩ জুন, কালীগঞ্জ উপ-নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে উড়ে আসা বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় সিপিএম সমর্থক পরিবারের ছোট্ট স্কুল ছাত্রী তামান্না খাতুনের। এইটা বিজয়উল্লাস? আর গত শনিবার, নদীয়ার পলাশী বাজারে তামান্না হত্যার প্রতিবাদে বেশ বড় সমাবেশ করে সিপিএম। সেই সভা থেকেই কোনও নাম না করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে একটি ‘বিশেষ শব্দ’ ব্যবহার করেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, আবেগকে আর ধরে রাখতে পারেননি।
উল্লেখ্য, কুলটির এই যুব নেত্রী সাধারণভাবে মানুষের বোঝার মতো করেই মেঠো ভাষায় বক্তৃতা দেন। কখনও আবার বাংলা বলতে বলতে হঠাৎ করেই সাবলীলভাবে হিন্দি বলতে শুরু করেন। ঠিক সেই কারণেই, বামেদের অন্যতম প্রিয় নেত্রী হয়ে উঠেছেন তিনি। কিন্তু কখনও প্রকাশ্যে তাঁকে কোনও খারাপ শব্দ ব্যবহার করতে শোনা যায়নি।
কিন্তু দলে তাঁর তুলনায় অনেক বর্ষীয়ানদের পিছনে ফেলে এবং অবশ্যই যোগ্যতার বিচারে এবার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এবং কেন্দ্রীয় কমিটিতেও জায়গা পেয়েছেন তিনি।
তাই মীনাক্ষীর ওই বক্তব্যের পর, প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সিপিএম আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। ফলে, বিষয়টা স্পষ্ট যেঁ, দলগতভাবে সিপিএম মনে করছে না মীনাক্ষী কোনও ভুল কাজ করেছেন।
অন্যদিকে, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সেদিন জনসভায় বলেন, ‘‘এখানকার এসপি বলছেন, দুর্ঘটনাবশত বোমার স্প্লিন্টার লেগে তামান্নার মৃত্যু হয়েছে। এই এসপি-কে ঠিক কীসের বাচ্চা বলব বলুন তো? আপনারাই বলুন, কীসের বাচ্চা বলব?’’ বিরাট মাপের জমায়েত থেকে তখন ঠিক সেই শব্দই উচ্চারিত হয়েছিল, যা ঠিক মীনাক্ষীর মুখে তার আগে শোনা গেছিল।
এদিকে আবার সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের অনেকে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কথাও টেনে আনছেন। বুদ্ধবাবু একবার দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে বলেছিলেন, "ওরা যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাতেই ওদের জবাব দিতে হবে।’’
তাহলে কি এক্ষেত্রে মীনাক্ষীকে সমর্থন করে সিপিএম কি এবার সেই বার্তাই স্পষ্ট করে দিল?
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।