রবিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল ১০ বছরের শিশুটি। বাবার কাছ থেকে মাত্র ১০ টাকা নিয়ে বেরিয়েছিল চপমুড়ি কিনতে।
মাত্র ১০ বছরের এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাসত। টানা তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল নাবালক। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পরে বৃহস্পতিবার বাড়ির খুব কাছেই একটি পরিত্যক্ত শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছে ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ। শিশুটির দেহ উদ্ধারের পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে ব়্যাফ আর কেন্দ্রীয় বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রের খবর রবিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল ১০ বছরের শিশুটি। বাবার কাছ থেকে মাত্র ১০ টাকা নিয়ে বেরিয়েছিল চপমুড়ি কিনতে। কিন্তু পর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। রবিবার রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি হয়েছিল। শিশুটির সন্ধান না পাওয়ায় পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। শিশুটির পরিবার বারাসত থানার সঙ্গে রেল পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেন। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটির পচা গলা দেহ উদ্ধার হয়। তারপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা। এলাকার আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকে। তারপরই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
নিহত শিশুর পরিবারের দাবি ১০ বছরের শিশুটিকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবেশী এক মহিলা তার ছেলেকে খুন করেছেন। মহিলা ১০ বছরের শিশুটির একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে নিয়েছে বলেও অভিযোগ মৃতের পরিবারের। এই ঘটনায় বারাসত পুলিশ এখনও পর্যন্ত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।