নরেন্দ্রপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায় অভিযুক্ত দম্পতিকে।
নরেন্দ্রপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায় অভিযুক্ত দম্পতিকে। নির্যাতিতার বাবা মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে কিডন্যাপ ও পকসো আইনে মামলা ঋজু করা হয়েছে।
ওই নির্যাতিতার বয়স ১১ বছর বলে জানা গিয়েছে। বাবা মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ওই কিশোরী। নির্যাতিতার পাশের বাড়িতেই থাকেন অভিযুক্তরা। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, গত ৬ তারিখ রাতে নির্যাতিতাকে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন বলে ডাকেন অভিযুক্ত মহিলা। অভিযোগ, এরপর তিনি বাড়ি ফিরে এলেও বাড়ি ফেরেননি নির্যাতিতা।
"মেয়েকে পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল" বলেই অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার বাবা ৷ অভিযুক্তরা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ অন্যদিকে “তাঁর সঙ্গে নাবালিকা স্ব-ইচ্ছাতেই গিয়েছিলেন " বলে জানান অভিযুক্ত মহিলার স্বামী। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ ৷ নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা ও গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
নির্যাতিতার বাবা জানান, “আমরা যে বাড়িতে ভাড়া থাকি ওই একই বাড়িতে ভাড়া থাকেন এই স্বামী-স্ত্রীও। ওদেরও একটা মেয়ে আছে। গত ৬ তারিখে আমার মেয়েকে বাজারে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর মহিলা একা এলেও আমার মেয়ে আসেনি। তিনি বলেন, আমার মেয়ে বান্ধবীর বাড়ি গিয়েছে। যদিও, ওরা স্বীকার করেছে, আমার মেয়েকে কিডন্যাপ করে, মুখে কাপড় চেপে ধর্ষণ করা হয়েছে।”
নির্যাতিতার বাবার এই দাবি অস্বীকার করে অভিযুক্ত মহিলা জানিয়েছেন , “ওরা মিথ্যা কথা বলেছে। আমি কোনও পাচার করিনি।”
অন্যদিকে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসার ঘটনা স্বিকার করেছেন অভিযুক্ত। তিনি জানিয়েছেন, “মেয়েটার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। ও স্বেচ্ছায় দু’রাত কাটিয়েছে আমার সঙ্গে। এখন মা বাবার চাপে হয়ত পাল্টি খাচ্ছে। আমার স্ত্রীর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা একসঙ্গে থাকি শুধু। একটি মেয়েও আছে আমাদের। আমিই আমার বৌ-কে বলেছিলাম মেয়েটিকে যেন বাড়ি থেকে নিয়ে আসে।”