মিঠুন চক্রবর্তীর কনভয়ে পরপর তিনটে গাড়ির ধাক্কা! দুর্গাপুর যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা

কনভয়ের প্রথম গাড়িটি আচমকা দাঁড়িয়ে যাওয়ায় পরপর তিনটি গাড়ি ধাক্কা খায়। সামনে থাকা বিজেপি নেতার গাড়িতে জোরে ধাক্কা দেয় মিঠুনের গাড়ি।

Web Desk - ANB | Published : Nov 27, 2022 1:43 AM IST

বিজেপি নেতা ও প্রখ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর কনভয়ে আচমকা বড় দুর্ঘটনা। গাড়ির সামনে চলে আসা একটি সাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে কনভয়ের সামনে থাকা গাড়ি হঠাৎই জোরে ব্রেক কষে। কনভয়ের প্রথম গাড়িটি আচমকা দাঁড়িয়ে যাওয়ায় পরপর তিনটি গাড়ি ধাক্কা খায়। সামনে থাকা বিজেপি নেতার গাড়িতে জোরে ধাক্কা দেয় মিঠুনের গাড়ি। তবে সূত্র অনুযায়ী পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে পরপর ৩টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, কেউ আহত হননি।

এর আগে পুরুলিয়ার লধুড়কায় মিঠুন জনসংযোগের ঢঙে সভা করেন। সভার শুরুতেই তিনি বলেন, “আজ আমি কোনও ডায়ালগ দিতে আসিনি, আপনাদের কথা শুনতে এসেছি। আপনাদের যা জিজ্ঞাসা করার আছে, করুন। যার যা মনের দুঃখ-কষ্ট আছে, বলবেন।” তাঁর বক্তব্যের নিশানায় ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস। 

বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার পর বাঁকুড়ায় সাংগঠনিক সভা করেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। বিকেলে মেজিয়া কলেজ মাঠের সভায় শোনেন স্থানীয় বিজেপি সমর্থকদের অভাব অভিযোগের কথা। সভা থেকে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ' কী পাওনি বল। ঘর পাওনি? ঘর পাবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সবাই ঘর পাবে। পয়সা স্থগিত করা হয়েছে, আটকে রাখা হয়নি। ...তুমি কি তৃণমূলের কোনও মামি, কাকি, কেউ নয়? তাহলে তো মুশকিল আছে। ঘর পেতে গেলে আগে তৃণমূলের মামি, কাকি, মাসি, ভাইপো, ভাইঝি হতে হবে। ...এই পঞ্চায়েতে যদি তৃণমূলের জায়গায় বিজেপি আসে, তাহলে প্রথম ঘর তোমার। '

সিনেমার মহাগুরু আরও বলেছিলেন "ঘরে ঘরে পোস্টারে বাংলার আবাস যোজনা করে দিয়েছে। যে টাকা পাঠাবে কাকে পাঠাবে? আমি বলছি, সেন্ট্রাল বলছে আগে হিসেব দিন। উনি বলছেন আমাদের পয়সা দিচ্ছে না, আমি কী করে দেব।"। তিনি বলেন, "আপনি ধরুন রামকে টাকা দিয়ে বাজারে পাঠালেন। রাম ফিরে এলে তার থেকে হিসেব চাইবেন না? যা পয়সা দিলেন তার তো হিসেব থাকে। যদি বলেন ওটা তো শ্যাম দেখে শ্যামকে দিয়ে দিন। আপনি কি শ্যামকে দেবেন? দেবেন না। রামের টাকা রামকেই দেবেন।"

নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন মিঠুন। তাঁকে এক বিজেপি সমর্থক বলেন বাড়ি নেই তাঁর, কোনও সাহায্যও পাচ্ছেন না তিনি। উত্তরে মিঠুন বলেন দিল্লি থেকে টাকা আসছে, কিন্তু মাঝপথে রাজ্যে এসেই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। মিঠুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার টাকা সেই আবাস যোজনার ব্যাঙ্কেই আসবে। আপনি পোস্টার মারলে কী করে হবে? এখন সবাই স্বীকার করছে সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা যা কাজ হচ্ছে কেন্দ্র করছে। সব পাবে।

Share this article
click me!