সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ৫০৪ ও ৫০৫ ধারায় এফআইআর রুজু হয় অভিনেতার বিরুদ্ধে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে যে খানিকটা হলেও স্বস্তি পাবেন মিঠুন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিধানসভা ভোটের পর ফের স্বমহিমায় বাংলার মসনদে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু চলতি বছর বিধানসভা ভোটের(Assembly vote in Bengal) মুখে অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব এমনকী সিনে তারকাদের দেখা যায় পদ্ম শিবিরে নাম লেখাতে। তালিকায় ছিলেন মহাগুরুমিঠুন চক্রবর্তীও(Actor Mithun Chakraborty)। ভোটের আগে গত মার্চ মাসের শুরুতে ব্রিগেডের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে বিজেপি-তে যোগ দেন মিঠুন। সে দিন ব্রিগেডে বক্তৃতা করার সময় তাঁর মুখে শোনা যায় তাঁর অভিনীত ছায়াছবির একাধিক সংলাপ।মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানের মতো বিখ্যাত ডায়লয়ে ভিড়ে বাড়ে বিজেপি-র ব্রিগেড মঞ্চে। আর তাতেই ক্ষেপে যায় শাসক দল(Trinamool-Congress)। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, হিংসায় মদত দিতেই ব্রিগেডের মঞ্চে এই সব সংলাপ বলেছেন অভিনেতা। দায়ের হয় এফআইআর(FIR)। এবার সেই মামলাতেই বড় স্বস্তি পেলেন এই বিখ্যাত বলি তারকা।

কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি কৌশিক চন্দের একক বেঞ্চের সাফ দাবি, ওই সময় জনপ্রিয় বাংলা ছবির সংলাপ ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার কোনও সম্পর্ক নেই। আজকাল অনেক সিনে তারকাই রাজনীতিতে আসছেন। জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে তারা এই ধরণের মন্তব্য করে থাকেন। ভোট পরবর্তী হিংসার সঙ্গে এই সংলাপ মিলিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।এর সঙ্গে উষ্কানির কোনও সম্পর্ক নেই।এদিকে মিঠুনের বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। ৬ মে দায়ের করা হয়েছিল অভিযোগ। যদিও এই মামলায় আগেই আগাম জামিন পেয়েছিলেন। এবার এইআইআর খারিজের মাধ্যমে গোটা মামলাটিরই নিষ্পত্তি করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়ে রাজ্য-রাজনীতির আঙিনায়।

আরও পড়ুন-প্রশাসনিক বৈঠকেই মহুয়াকে জোর ধমক মমতার, কেন হঠাৎ রেগে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় ১৫ বছর হয়ে গিয়েছে এমএলএ ফাটাকেষ্ট ছবি মুক্তির। কিন্তু সেই ছবির ডায়লগ নিয়ে চর্চা হয় আজও। বিজেপিতে যোগ দিয়ে ডায়লগেই আর একবার শান দিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু তার জেরে যে এই ধরণের সমস্যায় পড়তে হবে তা হয়তো গুনাক্ষরেও টের পাননি।ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ৫০৪ ও ৫০৫ ধারায় এফআইআর রুজু হয় অভিনেতার বিরুদ্ধে। হিংসা ছড়ানো, শান্তি নষ্ট করার চেষ্টার মতো একাধিক অভিযোগ আনা হয় মিঠুনের বিরুদ্ধে। আর তাতেই চাপ বেড়েছিল অভিনেতার উপর। তবে এবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে যে খানিকটা হলেও স্বস্তি পাবেন মিঠুন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই প্রসঙ্গে শাসক দলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।