বাড়ির ভিতর থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছিল। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ এসে ডাকাডাকি করে। সাড়া না পেয়ে বাড়ির দরজা ভাঙা হয়। দেখা যায় বারান্দার কোনার অংশে মিনতি দেবীর মৃতদেহ পড়ে আছে।
হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত তাঁতিপাড়া লেনে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া। মায়ের মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে রয়েছে। পচন ধরেছে সেই দেহে। এদিকে একমাত্র মেয়ে নির্বিকার। অন্য ঘরে এসি চালিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন মৃতার কন্যা।
মৃতার নাম মিনতি মুখোপাধ্যায়, তাঁর বয়স ৭০ বছর। মেয়ে কাকলিকে নিয়ে একই বাড়িতে থাকতেন মিনতি দেবী। মিনতি মুখোপাধ্যায়ের স্বামী দিলীপ অনেক বছর হল মারা গিয়েছেন। নিজেদের একতলা বাড়িতেই থাকতেন মা ও মেয়ে। দুজনেই মানসিক সমস্যায় ভুগতেন। দুজনের কেউই খুব একটা বাড়ির বাইরে বেরোতেন না বলে খবর।
বাড়ির ভিতর থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছিল। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ এসে ডাকাডাকি করে। সাড়া না পেয়ে বাড়ির দরজা ভাঙা হয়। দেখা যায় বারান্দার কোনার অংশে মিনতি দেবীর মৃতদেহ পড়ে আছে। শরীরে পচন ধরেছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সেখান থেকেই। এদিকে, মেয়ে কাকলি পাশের ঘরে দিব্য এসি চালিয়ে ঘুমাচ্ছিল। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। পাঠানো হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে।
ঘরের ভিতরে ঢুকে পুলিশ মেয়ের কান্ড দেখে হতবাক হয়ে যায়। জানা গিয়েছে ওই বাড়িতে দেখাশোনার জন্য একজন মহিলা রবিবার গিয়েছিলেন। তারপর আর তিনি ওই বাড়িতে যাননি। এই ক'দিনের মধ্যে ওই বাড়ি থেকে কোনও সাড়াশব্দও আসেনি। আজ বুধবার সকালে ফের ওই বাড়িতে লোকজন যায়। মায়ের মৃতদেহ চার দিন ধরে ওই বাড়িতে পড়ে রয়েছে। বারান্দার কোনায় ওই মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।