
Mushidabad Violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন সংশোধনের প্রতিবাদে হিংসার তদন্তে পুলিশ ৯ জনের একটি বিশেষ দল গঠন করেছে। এই দলটি হিংসার কারণ এবং এর পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখবে। এই বিশেষ তদন্ত দলের নেতৃত্ব দেবেন মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি।
৯ জনের টিম গঠন
পুলিশের নির্দেশে বলা হয়েছে, “এই আধিকারিকদের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সমসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর থানা এলাকায় হওয়া হিংসার তদন্তের জন্য গঠিত বিশেষ তদন্ত দলে নিয়োগ করা হয়েছে। সমস্ত আধিকারিকদের ১৬ এপ্রিল ২০২৫ দুপুর ১২ টার মধ্যে সামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর থানায় রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
১১ এবং ১২ এপ্রিল হিংসা
১১ এবং ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর এবং অন্যান্য এলাকায় ওয়াকফ আইন সংশোধনের প্রতিবাদে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই হিংসায় কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয় এবং অনেকে আহত হন।
মহিলাদের হয়রানি
ধুলিয়ানের মন্দিরপাড়া এলাকায় হিংসার সময় অনেক মহিলাকে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় মহিলা কমিশন এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে মহিলাদের হয়রানি এবং তাদের উচ্ছেদের তদন্তের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। মহিলা কমিশন জানিয়েছে, হিংসার কারণে শত শত মহিলা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন, যাদের অনেকেই ভাগীরথী নদী পার হয়ে মালদহ জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন।
মমতা ব্যানার্জিকে দোষারোপ
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, মুর্শিদাবাদের হিংসা পূর্বপরিকল্পিত এবং এর পেছনে বিজেপি, বিএসএফ এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মদত রয়েছে। বিরোধী দলগুলি এই হিংসার জন্য মমতা ব্যানার্জি সরকারকে দায়ী করেছে।
মুর্শিদাবাদ অশান্তিকে ঘিরে ফের উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে ঘিরে পাল্টা আক্রমণে নামলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মৃতদের ক্ষতিপূরণ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা থেকে শুরু করে এনআইএ তদন্তের দাবি—একাধিক ইস্যুতে একহাত নিলেন রাজ্য সরকারকে।