
Today Mutton Price: ভোজন রসিক বাঙালিদের পুজোর আগে উপহার। ১ কেজি খাসির মাংস মিলছে ৪০০ টাকায়! শুনতে বা বিশ্বাস করতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এত সস্তায় কোথায় মিলছে মাটন? বাঙালিদের যেমন মাছের ওপর দুর্বলতা আছে, তেমনি অনেকটাই দুর্বলতা মাংসের উপর ।
বিশেষ করে দেশি মুরগি, দেশি খাসি, রেয়াজি খাসি ইত্যাদির ওপর। মুরগির দাম এখন বর্তমান বাজারে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। আবার অনেক জায়গায় ২০০টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খাসির দাম ৭০০থেকে ৮৫০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়। সেই জায়গায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর থানার বারুইপুর খোদার বাজার বাইপাসের ধারে হঠাৎ কয়েকদিন ধরে তিনটে দোকানে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। তাতে করে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মাংস কেনার জন্য।
সূত্রের খবর, সস্তায় এই মাংস কিনতে শিয়ালদহ, বালিগঞ্জ, যাদবপুর, সোনারপুর, ক্যানিং, কাকদ্বীপ, নামখানা সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসছেন। এবং ৩, ৪ ,৫ ,৬ কেজি পর্যন্ত মাংস কিনে নিয়ে মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন। কিছু ক্রেতা জানিয়েছেন যে, মাংস অনেকটাই ভালো সুস্বাদু। কম দামে পাওয়া যাচ্ছে বলেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে মুজিবর মিট শপের মাংস বিক্রেতা বাপন পেয়াদা বলেন, ‘’এই খাসিগুলি নিয়ে আসা হয় তালদির হাট, নারকেলডাঙ্গা, রামপুরহাট প্রভৃতি জায়গা থেকে। কম দামে কিনে গাড়ি গাড়ি মাল নিয়ে এসে বিক্রি করছে। কম লাভে বেশি মাংস বিক্রি আমাদের মূল লক্ষ্য।'' রাজু মিট শপের আর এক মাংস বিক্রেতা শহিদুল পেয়াদা বলেন, ‘’প্রত্যেকদিন কমপক্ষে ৮০-৯০ পিস খাসি বিক্রি হচ্ছে।''
জানা গিয়েছে, এক একটির ওজন ৮ কেজি থেকে প্রায় ১০ কেজি। মানুষ এই মাংস কিনে নিয়ে গিয়ে রান্না করে খাওয়ার পর আবার এসে অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বারুইপুরের বিভিন্ন বাজারে খাসির মাংসের দাম অনেকটাই পড়ে গিয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীর মাথায় হাত পড়েছে। বাইপাসের ধারে ওই দোকানগুলির পাশে একটি দোকানে ৭০০ টাকা কেজি মাংস বিক্রি করছিল। কিন্তু ৪০০ টাকা কেজি মাংস যখন বাজারে আসে তখন তার দোকান বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়।। বাইপাসের পাশাপাশি শাসন, বারুইপুর পুরাতন বাজার ইত্যাদি বাজারে ও খাসির মাংস ব্যবসায়ীরা ৪০০ টাকা কেজি মাংস বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
সুভাষগ্রাম থেকে আসা এক মাংস ক্রেতা বলেন, ‘’আমি সোনারপুর থেকে মাংস বরাবর কিনতাম। কিন্তু যখন শুনেছি বারুইপুরে ৪০০ টাকা মাংস বিক্রি হচ্ছে, আমি আমার বাড়ির জন্য ৪ কেজি কিনে নিয়ে যাচ্ছি। আমার বন্ধুর কাছে শুনেছি এই মাংস খুবই ভালো খেতে, তাই কিনে নিয়ে যাচ্ছি।''
এদিকে উৎসবের মরশুম শুরুর আগে পুজোর সময় প্রত্যেক বাঙালিদের নতুন কাপড় কিনতে পকেট প্রায় ফাঁকা! আর ঠিক সেই সময় ৪০০ টাকা কেজিতে খাসির মাংস পেয়ে সাধারণ মানুষ খুবই খুশি। ক্রেতারা ধন্যবাদ জানাচ্ছেন বিক্রেতাদের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।