
Crime News: আনন্দপুর থানার অভিযানে ফের সাফল্য। শুক্রবার রাতে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আনন্দপুর থানার মামলা নং–২৬২, তারিখ ১২.০৯.২০২৫-এর তদন্তে নেমে ২৬ বছরের এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতের নাম মো. অ্যাম্বার ওরফে মো. নফিস। ধৃতের বাবার নাম মো. আখতার ওরফে আখতার হুসেন। বাড়ি কলকাতার আনন্দপুর থানার গুলশান কলোনির ডি/৬ নম্বরে।
অভিযুক্তকে শুক্রবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে তার বাড়ির সামনেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯/৩(৫)/৩৫১(৩)/৩২৪(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আর্মস অ্যাক্টের ২৫/২৭ ধারায় এবং পশ্চিমবঙ্গ গণশৃঙ্খলা রক্ষা আইন (West Bengal Maintenance of Public Order Act)-এর ৯ নম্বর ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে শনিবার আদালতে তোলা হবে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের বাকড়া গ্রামে প্রায় ১০০ টি পরিবারের বসতভিটে ও চাষের জমি রাতারাতি অন্যের নামে হস্তান্তর হওয়ার অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, সুজিত কুঙর নামে এক জমির দালাল এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। তার পাশাপাশি ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইকোস্পেস ডিলট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড সহ আরও কয়েকজন এই কারচুপি কাজে যুক্ত বলে দাবি করছেন তারা।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, যে সব জমিতে তারা বহু বছর ধরে বসবাস এবং চাষাবাদ করে আসছেন, সেই জমি নকল স্বাক্ষর ও কারচুপি করে অন্যের নামে হস্তান্তর করা হয়েছে। কোথাও কোথাও জমির মালিককে মৃত দেখিয়ে দলিল সম্পন্ন করার অভিযোগও উঠেছে। এই ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং পরিবারগুলির মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। রাতের ঘুম উড়ে গেছে বাসিন্দাদের। শুক্রবার অধিকাংশ গ্রামবাসী সাঁকরাইল ব্লকের বিএলআরও অফিসে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। তাদের দাবি, দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি, যাতে তাদের জমি রক্ষা পায়।
বিষয়টি নিয়ে সাঁকরাইল ব্লকের বিএলআরও অসীত দোলাই বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এখনও কোনো দলিল হাতে আসেনি। আমরা তদন্ত করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” গ্রামে আতঙ্ক ও ক্ষোভের পরিবেশ থাকায় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি লড়াই তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এলাকায় পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে প্রশাসন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।