বকেয়া ডিএ মামলা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। একদিকে যখন কর্মীরা তাকিয়ে আছেন সুপ্রিম কোর্টের দিকে, ঠিক সেই সময়েই বিস্ফোরক অভিযোগ সরকারি কর্মীদের।
211
তাঁদের মতে ডিএ প্রদান প্রক্রিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করার জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করতে পারে রাজ্য সরকার।
311
সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মীরা বলেছেন রাজ্য সরকার একেবারে শেষ মুহূর্তে, অর্থাৎ নির্ধারিত তারিখের ঠিক আগে, একটি ত্রুটিপূর্ণ MA (Modification Application) ফাইল করার পরিকল্পনা করছে।
এই কৌশলটির মূল উদ্দেশ্য হলো, সুপ্রিম কোর্ট যখন সেই ত্রুটি সংশোধনের নির্দেশ দেবে, তখন রাজ্য সরকার আরও কিছুটা সময় পেয়ে যাবে।
511
সরকারের সম্ভাব্য কৌশলগুলি কী কী?
সরকারি কর্মীরা কয়েকটি সম্ভাব্য কৌশলের কথা উল্লেখ করেছেন, যা রাজ্য সরকার অবলম্বন করতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
611
শেষ মুহূর্তে আবেদন: নির্ধারিত তারিখের ঠিক আগে আবেদন করে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করানো, যাতে আদালত ত্রুটি সংশোধনের জন্য বলে এবং রাজ্য সময় পায়।
711
বকেয়ার পরিমাণ নিয়ে বিভ্রান্তি: কোন কর্মীদের ডিএ প্রাপ্য এবং কতদিনের বকেয়া রয়েছে, সেই বিষয়ে স্পষ্টীকরণের নামে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা হতে পারে।
811
কিস্তিতে ডিএ প্রদানের প্রস্তাব: এমনও শোনা যাচ্ছে যে, সরকার বকেয়া ডিএ তিনটি কিস্তিতে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাতে পারে।
911
কর্মীদের প্রতি বার্তা ও আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি
কর্মীরা বলেন, রাজ্য সরকার যে পদক্ষেপই নিক না কেন, তা শেষ পর্যন্ত কর্মীদের পক্ষেই যাবে। তাঁর ধারণা, এর ফলে আদালত ৫০% ডিএ দেওয়ার নির্দেশও দিতে পারে এবং তা কঠোরভাবে কার্যকর করার কথাও বলতে পারে।
1011
সরকারি কর্মীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আদালতের পাশাপাশি কর্মীদেরও নিজেদের একত্রিত শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। প্রয়োজনে সরকারি দপ্তরে কাজ বন্ধ করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও তিনি বলেন।
1111
দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের মারাত্মক অভিযোগও উঠেছে। তাঁর কথায়, সরকার সমর্থক কর্মচারী ফেডারেশনগুলিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাড়ির কাছে পোস্টিং, কাজের সময় অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাঁদের সন্তুষ্ট রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।