এই বছর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল আশানুরূপ ভালোই হয়েছে। রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপাকি করে তৃণমূল সরকার আইন-শৃঙ্খলার দিক থেকে আরো জোরালোভাবে সাজাতে চায় রাজ্যকে।
নন্দীগ্রামে ২০০৭ সালে জমি আন্দোলন শুরু হয়েছিল তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব সময় সঙ্গী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অবশ্য বর্তমানে এই চেহারা বদলে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন এক সময়ের ছায়াসঙ্গী এখন তার বিরোধী দলে নাম লিখিয়েছে। তমলুক লোকসভার অন্তর্গত এই বিধানসভা এলাকা অধিকারীদের গড় হিসেবে পরিচিত। এমনকি যে লোকসভার ভোট হয়েছে তাতেও এই এলাকাতে বহু অশান্তি দেখা গেছে। তাই ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর নবান্ন এই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা আরো জোরদার করেছে।
নন্দীগ্রাম নামটা আমাদের সকলের কাছে খুব পরিচিত। কিছু বছর আগে এই জায়গাটি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে এসেছিল। মূলত নন্দীগ্রাম হলো জমি আন্দোলনের গর্ভগৃহ। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ ছিল এই জায়গাটি। এই জায়গা নিয়ে তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে কম দ্বন্দ্ব হয়নি। যা আশা করি সকলেরই মনে আছে।
নবান্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে আরো কঠোর হতে হবে সরকারকে। এই বাঁধন আরও সুদৃঢ় করতে নন্দীগ্রামে আরও দু’টি থানা তৈরি করতে চায় নবান্ন। সূত্র মারফত জানা গেছে যে, নয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে সরকার নন্দীগ্রাম থানা ভেঙে রেয়াপাড়া ও তেখালি এই দুটি নতুন থানা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়ে গেছে নবান্নের। তাতেই সম্প্রতি সবুজ সঙ্কেত মিলেছে।
এই বছর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল আশানুরূপ ভালোই হয়েছে। রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপাকি করে তৃণমূল সরকার আইন-শৃঙ্খলার দিক থেকে আরো জোরালোভাবে সাজাতে চায় রাজ্যকে। এইজন্য তারা কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা রীতিমতো সমস্যায় ফেলতে পারে বিরোধী দলনেতাদের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।