আবারও মোটা অঙ্কের টাকা বাজার থেকে ঋণ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে রীতিমত আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ফের অনড় মনোভাবই দেখাল। পাল্টা মোদী সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছে।
আবারও মোটা অঙ্কের টাকা বাজার থেকে ঋণ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে রীতিমত আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ফের অনড় মনোভাবই দেখাল। পাল্টা মোদী সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছে।
26
তৃতীয়বার ঋণ
চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বাজার থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২৯০০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে। তৃতীয় দফায় ঋণ নিলে রাজ্য সরকার চলতি বছর বাজার থেকে ৭৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে।
36
এক বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ!
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আবারও যদি রাজ্য সরকার ঋণ নেয় তাহলে চলতি অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারের বাজার থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা।
২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজাটে বাজার থেকে ধার্ষ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৮২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু কিছু নতুন প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। যার কারণেই এই ঋণ বলেও দাবি করছে রাজ্য সরকার.। যার কারণে ধার্য করা ঋণের পরিমাণও ছাড়িয়ে যাবে রাজ্য সরকার।
56
ঋণ নিয়ে রাজনীতি
তবে ঋণ নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। অর্থ দফতর সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির তহবিল নির্দিষ্ট সময় না -পৌঁছানোর ফলে রাজ্যকে নিজস্ব অর্থে অনেক প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। যার কারণে রাজস্ব থেকে আয় বাড়লেও খরচ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। সেই কারণে বারবার ঋণ নিতে হচ্ছে। তবে বিজেপির প্রশ্ন অনেক সরকারই বাজার থেকে প্রয়োজনে ঋণ নেয়। কিন্তু সেই অর্থ কীভাবে খরচ করা হচ্ছে। বিজেপি আরও বলেছেন, শুধুমাত্র নিত্য় প্রয়োজনীয় কাজে এই ঋণের অর্থ ব্যয় করা ঠিক নয়।
66
ঋণের হিসেব নিকেষ
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত রাজ্যের মোট দেনার পরিমাণ ছিল ৬.৩৩ লাখ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ সালে তা বেড়ে ৭ লক্ষ কোটি ছাড়িয়েছে। আর ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই অঙ্ক ৮ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছোতে পারে বলে মনে করছে বিজেপি পরিষদীয় দল।