অর্জুন সিং নৈহাটি বিধানসভায় ভোটার লিস্টে পাকিস্তানের করাচির নাগরিকের নাম,ফাঁস করে দিলেন করে দিলেন। শুধু তাই নয়, অর্জুন সিংকে এই ক্ষেত্রে সমর্থন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক সনৎ দে। তিনি অবশ্য দায় চাপিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওপরই।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি প্রথম থেকেই বিহারের মত এই রাজ্যেও SIR অর্থাৎ ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষার পক্ষ। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই এই দাবিতে জোরালো সওয়াল করেছে শুভেন্দু অধিকারী অর্জুন সিং-রা। তবে এই ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন অর্জুন সিং। তিনি নৈহাটি বিধানসভায় ভোটার লিস্টে পাকিস্তানের করাচির নাগরিকের নাম,ফাঁস করে দিলেন করে দিলেন। শুধু তাই নয়, অর্জুন সিংকে এই ক্ষেত্রে সমর্থন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক সনৎ দে। তিনি অবশ্য দায় চাপিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওপরই।
করাচির নাগরিক ভারতীয় ভোটার!
সালেয়া ইমরান পাকিস্তানি নাগরিক। স্ত্রী সালোয়া খাতুনও পাকিস্তানের নাগরিক। বর্তমানে তাদের ঠিকানা নৈহাটির ঘোষপাড়া নেলে। জন্মসূত্রে দুজনেই তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই তারা এই দেশে বাস করছে। কিন্তু প্রশ্ন কখন কীভাবে তারা নিজেদেরক নাম তুলে ফেলেছে ভারতীয় ভোটার লিস্টে।
ভারতের নৈহাটি বিধানসভার ভোটার তালিকায় স্বামীর নাম মহ: ইমরান।
নৈহাটি বিধানসভায় ২৩ নং A.T GHOSH লেনে। এই কথাই বলছে ভোটার লিস্টে। ভোটার লিস্টের ১১৫ নম্বর পার্টে সালোয়া পরিবারের নাম রয়েছে।
অর্জুন সিং-এর দাবি
অর্জুন সিং করাচির নাগরিকের ভারতীয় ভোটার লিস্টে নাম তোলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন। ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন। বর্তমানে বিজেপির নেতা। তিনি সালোয়া পরিবার পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের মেয়েও পাকিস্তানের নাগরিক। সেই দেশের পাসপোর্টও রয়েছে তাদের। যদিও মহম্মদ সালোয়া জানিয়েছেন, তারা পাকিস্তানের নাগরিক। কিন্তু সেই দেশ বর্তমানে তাদের পাসপোর্ট ভিসা সবই বাতিল করে দিয়েছে। ইডির কাছে জেরায় সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছে সালোয়া । তারা জানিয়েছেন, সালোয়া পাকিস্তানের বাসিন্দা। যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তিনি কর্মসূত্রে দুবাই থাকতেন। ২৫ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তারপরই তারা কাজের জন্য এই রাজ্যে আসেন।
তৃণমূল বিধায়কের দাবি
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সনৎ দে অর্জুন সিং-এর কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গোটা পরিবারই পাকিস্তানের নাগরিক। তবে তিনি এই দায় রাজ্য সরকারের ওপর চাপাতে নারাজ। তিনি বলেছেন, ভোটার কার্ড বা ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যাপারটা পুরোটাই দেখে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই এই দায় নির্বাচন কমিশনেরই রাজ্যেও নয়। তিনি আরও বলেন, এই পরিবার ১৯৯১ সালে করাচি থেকে এখানে এসেছে।


