না বিধায়ক রইলেন, না সাংসদ হতে পারলেন! এই ভোটে সব হারিয়েছেন বাংলার যে প্রার্থীরা

Published : Jun 06, 2024, 10:07 AM IST
kerala election 2024

সংক্ষিপ্ত

কিছু প্রার্থী রয়েছেন যাঁরা শ্যামও রাখতে পারেননি আবার কূলও ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল তাদের কথা।

ভোট যুদ্ধ শেষ। তার ফলপ্রকাশও শেষ। এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ পালা, কোথায় ভালো ফল, আর কোথায় খারাপ ফল হয়েছে। তবে কিছু প্রার্থী রয়েছেন যাঁরা শ্যামও রাখতে পারেননি আবার কূলও ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল তাদের কথা।

দেশে বিরোধীদের আসন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের আসন সংখ্যাও বেড়েছে। তবে বাংলায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও তাদেরই ৩ জন প্রার্থীর একূল ওকূল দুই কূল গেল, তালিকায় আবার রয়েছেন বিজেপির ১ প্রার্থীও। কারা তারা, জেনে নিন।

১. একুল ওকুল দুই কুল হারানো যে সকল ব্যক্তিরা রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তাপস রায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তাফা দিয়ে বিজেপিতে নাম লেখান। তাকে বিজেপি উত্তর কলকাতার প্রার্থী করে। কিন্তু ভোটে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাকে ৯২ হাজার ৫৬০ ভোটে পরাজিত হতে হল।

২. বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কৃষ্ণ কল্যাণী ২০২১ সালে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিট জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। পরে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এছাড়াও তাকে বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। কিন্তু রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট পেয়ে তিনি বিধায়ক এবং পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। এবার ভোটের ফলাফল বের হতেই দেখা যায় তিনি বিজেপির কার্তিক চন্দ্র পালের কাছে ৬৮ হাজার ১৯৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।

৩. ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। এবার তৃণমূল তাকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেয়। লোকসভায় টিকিট পেয়ে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে বিশ্বজিৎ দাস এবার তৃণমূলের ঝড়ের মধ্যেও জয়ের মুখ দেখতে পেলেন না।

৪. মুকুটমণি অধিকারী রানাঘাট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০২১ সালে বিজেপির টিকিটের বিধায়ক হয়েছিলেন। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়ে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েই তিনি আবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। এখন তিনি না রইলেন বিধায়ক না হতে পারলেন সাংসদ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

বাবরি মসজিদের ভিত্তি স্থাপনের পর এ কী মন্তব্য আব্দুর রহিম বক্সির? দেখুন
আইটিসি সঙ্গীত সম্মেলন ২০২৫ চলছে মহা আড়ম্বরে! সঙ্গীতের মহামঞ্চে সম্মানিত এই কিংবদন্তী শিল্পী