চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুর পর হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই নড়েচড়ে বসলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। তড়িঘড়ি নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
শুক্রবার আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এক মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয় হাসপাতাল থেকে। এর পর থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হাসপাতাল চত্ত্বর-সহ গোটা শহর। চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুর পর হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই নড়েচড়ে বসলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। তড়িঘড়ি নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
আর জি কর হাসপাতালের এই নয়া নির্দেশিকা পোশাক এবং পরিচয় পত্রের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জানানো হয়েছে, হাসপাতালে যারা সরকারি কর্মী তাদের সরকারি পোশাক পরতে হবে। সেই সঙ্গে সকলের গলায় থাকবে তাদের পরিচয় পত্র। বেসরকারি সংস্থার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নির্দিষ্ট পোশাক কাজের সময় পরতে হবে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ স্বরূপ রাজ্যের প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতালে শুরু হয়েছে কর্মবিরতি। আন্দোলনে নেমেছেন সকল ডাক্তারি পড়ুয়ারা। শুধুমাত্র ডাক্তারি পড়ুয়া না নয়, এই প্রতিবাদের সামিল হয়েছেন রাজ্যের সিনিয়র চিকিৎসকরাও।
লাল বাজার-সহ তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য ভবন। হাসপাতালের সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এই মুহূর্তে। এছাড়াও ওইদিনের ঘটনায় যে দুজন নিরাপত্তা রক্ষাকারী দায়িত্বে ছিলেন তাদেরকে সাসপেন্ড করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার বিষয় খতিয়ে দেখছে। হাসপাতাল চত্বরে সিসিটিভি লাগানো রয়েছে তবে সেগুলো অকেজো বলেই জানা গিয়েছে পুলিশের তরফে। যেসব জায়গায় হাসপাতালে সিসিটিভি নেই, সেই জায়গাগুলোতেও সিসিটিভি যত দ্রুত সম্ভব সিসিটিভি বসাতে হবে বলে হাসপাতালের তরফে সুনিশ্চিত করা হয়েছে।