আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য। সমাজের সব স্তরের মানুষ এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় সারা দেশের মতোই স্তম্ভিত হাওড়ার কর পরিবার। যাঁর নামে কলকাতার অন্যতম সেরা এই সরকারি হাসপাতাল, সেই রাধাগোবিন্দ করের বাড়ি হাওড়ায়। এখনও প্রয়াত আর জি করের পরিবারের সদস্যরা হাওড়ার বাড়িতে থাকেন। পরিবারের গর্ব যে হাসপাতাল, সেখানে এক তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক পরিণতিতে তাঁরা শোকস্তব্ধ। আর জি করের পরিবারের সদস্য পার্থ কর জানিয়েছেন, 'এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমাদের বলার কোনও ভাষা নেই। খুব খারাপ ঘটনা। এক চিকিৎসকের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি আমরা। এই ঘটনা যেন আমরা ভুলে না যাই। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।'
কঠোর ব্যবস্থার দাবি কর পরিবারের
পার্থবাবু আরও বলেছেন, 'আজ সকালে খবরের কাগজে পড়লাম, এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল না, সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। সরকারের কাছে আমাদের আর্জি, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সরকারি হাসপাতালে যে কেউ যখন খুশি ঢুকে যাচ্ছে, নৃশংস অপরাধ ঘটাচ্ছে, এরকম যেন আর না হয়।'
আর জি করের জন্মমাসেই নৃশংস ঘটনা
১৮৫২ সালের ২৩ অগাস্ট হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে জন্ম হয় রাধাগোবিন্দ করের। বাবা দুর্গাদাস কর ছিলেন চিকিৎসক। তাঁর মতোই চিকিৎসক হয়ে ওঠেন রাধাগোবিন্দ কর। তিনি ১৯১৮ সালে মেডিক্যাল এডুকেশন সোসাইটি অফ বেঙ্গল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সে বছরই প্রয়াত হন। তাঁর নামানুসারে এই মেডিক্যাল কলেজের নাম রাখা হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল। কয়েকদিন পরেই রাধাগোবিন্দ করের জন্মদিবস। তার ঠিক আগে এই প্রখ্যাত চিকিৎসকের প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে এই নৃশংস ঘটনায় শোকাহত পরিবার।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
কোনও অনুতাপ নেই, ফাঁসির দাবি নিয়েও নিরুত্তাপ আর জি করে নৃশংস অপরাধে অভিযুক্ত