কোথাও ছাত্রছাত্রী নেই , কোথাও নেই শিক্ষক-শিক্ষিকা। কোনও কোনও স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ১০-এর নিচে নেমে গিয়েছে। বন্ধ হওয়ার মুখে জেলার প্রায় ১৪টি স্কুল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনও কোনও সরকারি স্কুল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে শিক্ষা দফতর। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করেছে। তবে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে গেছে শিক্ষা দফতর। জানিয়েছে স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত পড়ুয়া ও শিক্ষক না থাকায় স্কুলগুলি এখন ফাঁকা রয়েছে। পড়ুয়া ও শিক্ষক এলে সেগুলি নতুন করে চালু হবে।
DID YOU KNOW ?
রাজ্যে কটি সরকারি স্কুল বন্ধের মুখে?
জলপাইগুড়ি জেলায় পড়ুয়া শূন্যস্কুলের সংখ্যা চিন্তায় ফেলেছে জেলা প্রশাসনকে।
25
জলপাইগুড়ি জেলা পরিদর্শকের বয়ান
জলপাইগুড়ি জেলা পরিদর্শক বালিকা গোলে জানিয়েছেন, 'জেলায় মোট ১৬১টি সরকারি জুনিয়ার হাইস্কুল রয়েছে। এরমধ্যে ১৪টিতে স্কুল পড়ুয়া নেই। কিছু স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা নিতান্তই কম। সেগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।' কিন্তু কেন জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার এই হাল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
35
দুটি স্কুল পড়ুয়া শূন্য়
জেলা শিক্ষা বিভাগ সূত্রের খবর, ধুপগুড়ির দুটি জুনিয়ার হাইস্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা পুরোপুরি শূন্য। একজনও পড়ুয়া নেই এমন স্কুলের সংখ্যা মাত্র ১টি। নাগরাকাটাতে এমন একটি স্কুল রয়েছে।। ময়নাগুড়িতে এমন স্কুলের সংখ্যা ২। জেলার মধ্যে শিক্ষার হাঁড়ির হাল রাজগঞ্জে। সেখানে ৪টি স্কুল পড়ুয়া শূন্য অবস্থায় রয়েছে। মালবাজারে এধরনের স্কুলের সংখ্যা ২।
পরিস্থিতিত সামাল দিতে পথে নেমেছেন শিক্ষকরাও। ছাত্র খুঁজতে নিজেদের চাকরি বাঁচাতে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে উদ্যোগী হয়েছেন শিক্ষকরা। জেলা সূত্রের খবর অনেক সময় স্কুলছুট পড়ুয়াদের বাড়িতে ফোন করে তাদের স্কুলে যেতে অনুরোধ করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু তাতেও লাভ না হলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খরব করে। কিন্তু তেমন কোনও লাভ হয়নি। এই অবস্থায় রীতিমত হতাশ শিক্ষকরা।
55
ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দাপট
জেলা সূত্রের খবর জেলায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দাপট দিনে দিনে বাড়েছ। কিন্তু রাজ্যের সরকারি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলির বেহাল দশা। শহরের এফডিআই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, শিক্ষকের অভাবেই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে জেলার ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটি। জেলা শিক্ষা দফতরের নজরে বিষয়টি আনা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি।