৮ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে। কয়েক দফা নয়, এক দফাতেই ভোট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এক মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বলছে বিশেষ সূত্র। সেক্ষেত্রে ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে। কয়েক দফা নয়, এক দফাতেই ভোট হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আজই চূড়ান্ত দিন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সাংবাদিক সম্মেলন করবে কমিশন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কমিশন। জেলা পরিষদের ৯২৮টি আসনে কবে ভোট, তা আজই জানাতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে উল্লেখ্য, রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বুধবারই দায়িত্ব নিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। নবান্নের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের কাছে রাজীবের নাম নির্বাচন কমিশনার হিসাবে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম দিকে রাজ্যপাল সেই সুপারিশে অনুমোদন না দিলেও পরে তা অনুমোদন করেছেন বলে রাজভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত ২৮ মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে সৌরভের মেয়াদ শেষ হয়। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে রাজ্য এবং রাজভবনের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়। তবে সংঘাতের আবহ তৈরি হলেও রাজীবের নামেই অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর দায়িত্বে এসেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার। রাজীবের তত্ত্বাবধানেই যে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালিত হবে তা স্পষ্ট। এবার অপেক্ষা কমিশনের তরফে পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার।
কবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে, বেশ কিছুদিন ধরেই এই নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। নির্বাচন কমিশনের তরফেও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। এপ্রিল শেষদিকে দু'মাসের নবজোয়ার যাত্রা ঘোষণা করেন অভিষেক। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, অভিষেকের নবজোয়ার শেষের আগে ভোট ঘোষণার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, ২০১৩ ও ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা গোটা দেশের নজর বাংলার দিকে ঘুরিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের তির ছিল ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। গত দুবারের ভোটে হিংসার স্মৃতিকে মনে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বেশ কয়েক দফায় পঞ্চায়েত করানোর দাবি তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তবে সূত্রের খবর কয়েক দফায় বা কয়েক দিন ধরে নয়, এক দিনেই এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে রাজ্যে। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশই।
এদিকে, ভোট যখনই হোক, তা যেন শান্তিপূর্ণ হয়, এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিক কমিশন।’ এক দফা ভোটেও কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।