
Crime News: অভয়া কান্ডের ছায়া এবার পাঁশকুড়ায়। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘটনা। অভিযোগ, হাসপাতালেরই স্বাস্থ্য কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁশকুড়া পিৎপুর হাসপাতাল যেটি পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও বটে। সেই সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালেরই এক স্বাস্থ্য কর্মীকে ধর্ষণের দায়ে পাঁশকুড়া থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার জহির আব্বাস খান নামে হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজার। স্বাস্থ্যকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার ওই অভিযুক্ত।
নির্যাতিতা স্বাস্থ্যকর্মী অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে, দীর্ঘদিন ধরেই অভিযুক্ত জাহির আব্বাস খান রিলাইবেল প্রাইভেট লিমিটেড এর পক্ষ থেকে ওই হাসপাতালে কাজে নিযুক্ত ছিলেন। এবং তারপর থেকেই ওই হাসপাতালের বিভিন্ন মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীকে কুপ্রস্তাব দিতেন। এমনকি ভয় দেখাতেন। সন্দেহ হওয়াতে ওই হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা ফেসিলিটি ম্যানেজারের রুমে ক্যামেরা বসান। তারপরে সামনে আসে গুণধরের কুকীর্তি।
এই ঘটনায় হাসপাতালের অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা অভিযোগকারী স্বাস্থ্যকর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে অভিযুক্ত জাহিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এরপর অন্যদের অভয় পেয়ে পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছেন যে, তিনি একা ভুক্তভোগী নন। আগেও বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মীকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন অভিযুক্ত। তারা ভয়ের কারণে মুখ খোলেননি। এদিকে নির্যাতিতা ওই স্বাস্থ্যকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁশকুড়া থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত জাহির আব্বাস খান।
অন্যদিকে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় আগেই পুলিশের জালে পড়েছিল প্রেমিকা উজ্জ্বল সোরেন। তাঁকে টানা ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করেছে মালদা পুলিশ। তেমনই জানান হয়েছে পুলিশের সূত্রে। শনিবার রাতেই তাঁকে আটক করা হয়। এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ।
উজ্জল সোরেন নামের এই ছাত্র আদতে পুরুলিয়ার বাসিন্দা। তিনি মালদা মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। দীর্ঘ দিন ধরেই সম্পর্ক ছিল বালুরঘাটের বাসিন্দা অনিন্দিতা সোরেনের সঙ্গে। সূত্রের খবর সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্র ধরেই তাদের আলাপ হয়েছিল। তারপর প্রেম। একাধিক অনুষ্ঠানে তাদের একসঙ্গে দেখা যেত।
সম্প্রতি তারা পুরীর মন্দিরে গিয়ে হিন্দু মতে বিয়ে করেছিলেন। পরিবারের দাবি অনিন্দিতা গর্ভাবতী হয়ে পড়েন। জোর করে তাঁর গর্ভপাতও করা হয়েছিল। দায়ী করা হয়েছিল উজ্জ্বল সোরেনকে। নিহতের পরিবার উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ অনিন্দিতার মৃত্যুর আগে বমি করেছিল। মুখ দিয়ে গাঁজালো পদার্থ বেরিয়েছিল। তাতেই তাদের সন্দেহ হয় বিষাক্ত কিছু খাইয়ে খুন করা হয়েছে মেয়েকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।