Published : May 26, 2025, 12:48 PM ISTUpdated : May 26, 2025, 12:49 PM IST
Tarapith Kali Temple: সোমবার ফলহারিণী অমাবস্যা ঘিরে সকাল থেকেই বীরভূমের তারাপীঠে ভক্তদের ঢল। বিশেষ এই দিনে মা তারাকে পুজো দিলে পূণ্যলাভ হয়। আর সেই পূণ্যলাভের আশায় সকাল থেকেই মন্দিরে ভিড় ভক্তদের। দেখুন ফটো গ্যালারিতে…
আজ জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথি, অর্থাৎ ফলহারিণী অমাবস্যা। এই দিনটিতে বীরভূমের বিখ্যাত শক্তিপীঠ তারাপীঠে মা তারার বিশেষ পুজো হয়ে থাকে। সকাল থেকেই চলছে মায়ের আরাধনা।
210
ফলহারিণী অমাবস্য়া
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যার দিনে মা তারা ‘ফলহারিণী’ রূপে পূজিত হন। এই রূপে দেবী অশুভ ফল হরণ করেন এবং ভক্তদের মঙ্গল কামনা করেন। তাই এই বিশেষ পুজোর নাম ফলহারিণী।
310
তারাপীঠে ভক্তদের ঢল
প্রতি বছরের মতো এবারও পুজোর দিন ভোর থেকে মন্দির চত্বরে ভক্তদের ভিড়। সকাল থেকেই শ্মশান এলাকা ও মন্দির চত্বর উৎসবমুখর পরিবেশে ভরে উঠেছে।
মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ১১টা ৭ মিনিটে অমাবস্যা তিথি শুরু হয়েছে এবং তা চলবে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেই চলছে ফলসহ পুজো অর্চনার প্রস্তুতি ও আয়োজন।
510
ফলহারিণী কালীপুজোর বিশেষত্ব
এদিন মা তারাকে মরশুমি ফল দিয়ে সাজানো হয়। রাতে দেবীর মুকুট, গলার মালা, এমনকি অলঙ্কার সবকিছুই তৈরি হয় বিভিন্ন রকম ফল দিয়ে। অমাবস্যা শুরু থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোপাঠ, যজ্ঞের অনুষ্ঠান।
610
মরশুমি ফল দিয়ে তারাপীঠে পুজো
ভক্তরা পাঁচটি বা নটি ফল নিয়ে এদিন দেবীকে পুজো দেন। এদিন দেবীকে দু'বার অন্নভোগ দেওয়া হয়—দিনে ও রাতে। বিশেষ ভোগ হিসেবে খিচুড়ি, সবজি, লাবড়া, মিষ্টি, ও ফল রাখা হয়।
710
দূর হয় অশুভ শক্তি
ভক্তদের বিশ্বাস, এদিন মা তারাকে ফল দিয়ে পুজো করলে অশুভ শক্তি দূর হয় এবং জীবনে মঙ্গলজনক ফল লাভ হয়। তাই এই পুণ্যতিথিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত ছুটে আসেন তারাপীঠে।
810
মন্দিরে বিশেষ ব্যবস্থা
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কৌশিকী অমাবস্যার পর ফলহারিণী অমাবস্যায় তারাপীঠে সর্বাধিক ভিড় হয়। সেই কারণে মন্দির ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
910
তারাপীঠে কড়া নজরদারি
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও মন্দিরের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দলও কাজে নেমেছে। ফলহারিণী অমাবস্যার এই পূণ্যলগ্নে মা তারার কৃপা লাভে হাজির লক্ষ লক্ষ ভক্ত।
1010
ফলহারিণী শব্দের অর্থ
ফলহারিণী শব্দটি সংস্কৃত উৎস থেকে এসেছে। ফল অর্থ কর্মফল বা কাজের ফল এবং হারিণী শব্দের অর্থ হরণ করেন যিনি। অর্থাৎ ফলহারিণী হলেন সেই দেবী যিনি অশুভ কর্মফল হরণ করেন এবং তাকে শুভফল দান করেন। এই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই গৃহস্থ থেকে সাধু সকল স্তরের ভক্তগণ এই তিথিতে দেবী উপাসনায় ব্রতী হন।