Kakdwip TMC News: টাকা দিলেই উঠে যাচ্ছে ভোটার লিস্টে নাম! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ খোদ বিধায়কের। ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভোটার লিস্টে নাম। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন… 

Kakdwip TMC News: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে যখন সীমান্তে বাড়ছে নজরদারি ঠিক তখনই অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রকাশ্যে এলো বিস্ফোরক তথ্য। মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়েই মিলছে ভোটার কার্ড। অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে নাকি ১০ হাজার টাকা দিলে পাওয়া যাচ্ছে ভোটার কার্ড। অর্থাৎ ভারতের নাগরিকত্ব।

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের একটি পরিবার এমনই অভিযোগ করেছেন। ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভোটার কার্ড পাওয়া ওই পরিবারের দাবি, তৃণমূল নাকি ১০ হাজার টাকা নিয়েছিল তারপরই নাম উঠে গিয়েছে ভোটার লিস্টে। যদিও শুধু ওই পরিবার একা নয়, খোদ কাকদ্বীপের বিধায়ক মণ্টুরাম পাখিরাও একই অভিযোগ করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

সূত্রের খবর, স্থানীয় বিধায়কের অভিযোগ প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের একাংশও এই কাজের পিছনে জড়িত। এদিকে ভুয়ো ভোটার ধরতে বারে বারে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরজন্য একটি টিমও গড়ে দিয়েছেন তিনি। এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যাতে বিষয়টির দিকে নজর দেয় সেই নির্দেশও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee News)। আর এবার এই ইস্যুতে বিস্ফোরক দাবি কাকদ্বীপের বিধায়ক মণ্টুরাম পাখিরার। এই কাজের পিছনে প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের একাংশ জড়িত রয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি বিধায়কের।

বিধায়কের অভিযোগ, কাকদ্বীপের তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় অস্বাভাবিক হারে ভোটার বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে রয়েছে এই অসাধু চক্রের হাত। মূলত বাংলাদেশ থেকে চলে আসা মৎস্যজীবীরা দীর্ঘদিনন ধরে এই অঞ্চলে বাস করার ফলে টাকার বিনিময়ে তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম উঠে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রায় ৬ হাজার ভোটারের বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিধায়ক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে সমীক্ষা। আর সমীক্ষা করতে গিয়েই প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য।

জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপের রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ ও প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা টাকার বিনিময়ে ভোটার লিস্টে নাম তোলার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। এঁরা মূলত বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিক। এঁদের রেশন কার্ড, আধার কার্ড থাকলেও টাকা দিনে না পারায় অনেকেরই ভোটার লিস্টে নাম নেই। আবার যারা টাকা দিতে পেরেছেন তাঁদের নাম তুলে দেওয়া হয়েছে ভোটার তালিকায়। এরকমই এক বাসিন্দা সুজন সরকার। তিনি বলেন, ''পঁয়ত্রিশ-ছত্রিশ বছর ধরে এখানে আছি। জন্ম সার্টিফিকেট নেই। কিন্তু আধার কার্ড আছে। আমার স্ত্রীর আগেই ভোটার লিস্টে নাম উঠে গিয়েছে। কিন্তু কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও আমার নাম ওঠেনি। পরে পার্টিকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। নাম উঠে গিয়েছে, প্রায় চার-পাঁচ বছর হল।''

অন্যদিকে, এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ''এই কারবারের সঙ্গে জড়িত কাকদ্বীপের এসডিও মধুসূদন মণ্ডল। ডিএম সুমিত গুপ্তা। এই কেস CBI-কে দেওয়া হোক।'' যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র অরূর মুখোপাধ্যায় বলেন, ''বিষয়টি নিয়ে কল দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় ইতিমধ্যে FIR দায়ের করা হয়েছে।''

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।