
Sandeshkhali News: মহিলাদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ। শেখ শাহজাহান ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। ইডির হানা থেকে নারী আন্দোলন। সন্দেশখালির প্রতিবাদের মুখ রেখা পাত্র এখন ভুলতে বসেছেন নিজের গ্রাম-ভিটেকে। দিব্যি কলকাতার ফ্ল্যাটে দিন কাটছে বিজেপির পরাজিত এই প্রার্থীর। সূত্রের খবর- রেখার ছায়া সঙ্গী, মল্লিকা, বিনা, সুদেষ্ণা, পাপিয়ারা বলছেন নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে কলকাতার ফ্লাটে রয়েছে রেখা পাত্র। এসআইআর নিয়ে সমস্যায় রয়েছে মানুষ। সন্দেশখালির কথা ভুলে গিয়েছে রেখা পাত্র।
সন্দেশখালি আন্দোলনের রেখার একদা ছায়া সঙ্গী বীণা দাস,মল্লিকা মাইতি। তারা বলছেন, ‘’রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না। অপরাধীরা সাজা পেয়েছে। আমরা ভালো আছি। আমাদেরকে ভুল বুঝিয়ে কিছু বিজেপি নেতা এই আন্দোলনে নিজেরদের স্বার্থ সিদ্ধি লাভ করার জন্য এই কাজ করেছেন। আমরা আজ ভালো আছি।''
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার সন্দেশখালি ব্লক ২০২৪ এর ৫ জানুয়ারির 'ইডি আক্রান্তের ঘটনার পর সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ নম্বর মাঝের পাড়া, পাত্র পাড়া আন্দোলনের প্রথম সংগঠিত হয় নেতৃত্বে ছিল রেখা, মল্লিকা, বিনা, সুদেষ্ণা, মৌসুমীরা, দীর্ঘ ছয় মাস লাগাতার আন্দোলন করেন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর আর ও বেশ কয়েক মাস ধরে চলেছিল এই আন্দোলন।
রাজ্য ও দেশের মাটিতে নারী নির্যাতন প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালী মহিলারা। তারই মধ্যে এই আন্দোলনের মুখ হিসেবে উঠে আসে রেখা পাত্রের নাম। যাকে দেশের স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শক্তি স্বরূপা বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি পড়তে শুরু করেছে। এর আগে তৃণমূলে যোগদান করেছেন প্রতিবাদী সুদেশ দাস, মৌসুমী মন্ডলরা। এবার তাহলে কি বীণা দাস, মল্লিকা মাইতিদের পালা তৃণমূলের যাওয়া! শুধু সময়ের অপেক্ষা। তারা বলেন, ‘’এখন সন্দেশখালি মানুষের কথা ভাবেন না রেখা। কলকাতার ফ্লাটে থাকেন। এখানকার মানুষের অভাব অভিযোগের কথা তিনি একবার ও নিজে কানে শোনেন না, ওনার স্বার্থসিদ্ধির জন্য তিনি বিজেপিতে গিয়ে লাভবান হয়েছেন।''
তিনি আরও বলেন, ‘’আমাদের আন্দোলন ছিল অপরাধীরা সাজা পাক, তারা সাজা পাচ্ছে। সন্দেশখালি মানুষের ভালো থাকার লড়াইয়ে বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, ব্লক সভাপতি দিলীপ মল্লিক সহ তৃণমূল নেতৃত্ব আমাদের সুবিধা-অসুবিধায় আমাদের পাশে থাকেন।'' অন্যদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে এই বিষয়ে রেখা পাত্র বলেন, ‘’উনারাই নিজেরদের স্বার্থসিদ্ধি লাভ করে ঘরবাড়ি করে নিচ্ছেন। ভিতরে ভিতরে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যারা শেখ শাহজানের ডান হাত দিলীপ মল্লিক, সুকুমার মাহাতোদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উনারা নিজেরদের স্বার্থ দেখেছেন। আমি মানুষের জন্য লড়াই করেছিলাম। এসআইআর সমস্যা নির্বাচন কমিশন, বিএলও-দের কাজ। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও বিষয় নেই। আমি প্রায়ই সন্দেশখালিতে যাই।''
চলতি বছরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কানমারীতে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় শহিদ সভা করেছিলেন। সেখানে গড় হাজির ছিল রেখা পাত্র। পাশাপাশি বেশকিছু কর্মসূচি ছিল সন্দেশখালিতে শেখানেও দেখা যায়নি রেখাকে। এরপরই শুরু হয় সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে নিয়ে কানাঘুঁষো। সম্প্রতি বিজেপিক সংকল্প যাত্রা সন্দেশখালির বাসন্তী হাইওয়েতে করেছিল গেরুয়া নেতৃত্ব। সেখানেও দেখা যায়নি। তাহলে কী রেখার সঙ্গে সন্দেশখালির মানুষের ক্ষোভ বাড়েছে? এমনই চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলেও। অবশ্য সামনে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রেখার বদলে অন্য কোন মুখ খুঁজছে বিজেপি নেতৃত্ব, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে বিজেপির অন্দরে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।