নজরদারি জাতে কোনও রকমের ফাঁকফোকোর না থাকে তাই জন্যই এবার অত্যাধুনিক ক্যামেরাযুক্ত পিআইডিএস বা 'পেরিমিটার ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম' বসানো হচ্ছে।
নিশ্ছিদ্র সুরক্ষা কবজে মুখ্যমন্ত্রীর আবাস। ক্যামেরার নজর এড়িয়ে গলতে পারবে না কেউ। গাছের পাতা পড়ার সতর্কবার্তাও পৌঁছবে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবার কড়া নিরাপত্তার চাঁদরে মোড়া হল মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ও সংলগ্ন এলাকায়। মুম্বই-দিল্লির পর এবার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও। নজরদারি জাতে কোনও রকমের ফাঁকফোকোর না থাকে তাই জন্যই এবার অত্যাধুনিক ক্যামেরাযুক্ত পিআইডিএস বা 'পেরিমিটার ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম' বসানো হচ্ছে। শুধু তাই নয় কালিঘাটের যে জনবহুল একালায় মুখ্যমন্ত্রী থাকেন সেখানেও বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা।
নজরদারির ফাঁকফোকর এড়াতে থাকছে কী কী ব্যবস্থা?
মুখ্যমন্ত্রীর আবাস ঘিরে থাকবে একের ৩০টি অত্যাধুনিক ক্যামেরা। শুধু তাই নয় কালিঘাটের গলিঘুঁজির মধ্যেও বাড়ানো হবে নিরাপত্তা। বসানো হচ্ছে পিআইডিএস ব্যবস্থাও। কিন্তু কী এই পিআইডিএস ব্যবস্থা?
পিআইডিএস ব্যবস্থা কী?
মূলত দিল্লি মুম্বইয়ের অতন্দ্র নিরাপত্তায় মোড়া এলাকায় নজরদারির ক্ষেত্রে এই পিআইডিএস ব্যবহার করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এটি একটি ক্যামেরা ও সেন্সর লাগানো ডিভাইস বা বৈদ্যুতিন যন্ত্র। এই যন্ত্রের সেন্সরের আওতায় কেউ ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্কবার্তা পৌঁছবে সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত কন্ট্রোল রুমে।
কী ভাবে কাজ করে এই পিআইডিএস?
এই বৈদ্যুতিন যন্ত্র মূলত একটি সামগ্রিক সুরক্ষা ব্যবস্থার অংশ। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সংলগ্ন সব এলাকায় সর্বক্ষণ পুলিশের পক্ষে নজরদারি চালানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে এই পিআইডিএস-এর সেন্সরের আওতায় কেউ ঢুকে পড়লে সেন্সর সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সজাগ করবে।
আরও পড়ুন -
আলিপুরদুয়ারে বিজেপির শক্ত জমিতে ফাটল, তৃণমূলের হাত ধরলেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল