বছর ঘুরলেই রাজ্যে বেজে যাবে ভোটের দামামা। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আর পাঁচ মাসও বাকি নেই। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার নদীয়ায় সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার নদীয়া জেলার তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর দুটি সভা রয়েছে। একটি সভা প্রশাসনিক ও অন্যটি রাজনৈতিক। আর এই দুই সভার প্রস্তুতি ঘিরে জোরদার নিরাপত্তা নদীয়ায়। চলছে শেষ মুহুর্তের তোড়জোড়।
25
নদীয়ায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রাত পোহালেই শনিবার। নদীয়ার তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেই সভাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত মহড়া। চাপড়ায় নামার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় কীভাবে সভাস্থলের মঞ্চের দিকে যাবে, তা নিয়ে শুক্রবার বিস্তারিত মহড়া চালানো হয়। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে গোটা রুট পরিদর্শন করা হয়। আগামীকালের জনসভা যাতে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে সম্পন্ন করা যায়, সেদিকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
35
কোথায় সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী?
নদীয়ার তাহেরপুরের নেতাজি পার্ক ময়দানে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদr। সেই সভাকে ঘিরে প্রশাসনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। রাত পোহালেই প্রধানমন্ত্রীর সভা, তাই আজই করা হলো হেলিপ্যাডের ট্রায়াল রান। তাহেরপুর থানার স্টেডিয়াম মাঠে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। সকাল থেকেই গোটা এলাকা জুড়ে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। ট্রায়াল রান চলাকালীন একটি হেলিকপ্টার প্রথমে গোটা এলাকা প্রদক্ষিণ করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে, এরপর হেলিপ্যাডে অবতরণ করে।
হেলিকপ্টারটি কিছুক্ষণ মাঠে অবস্থান করার পর পাইলট নেমে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ফের হেলিকপ্টারটি উড়ে যায়।হেলিপ্যাডের ট্রায়াল রান দেখতে এলাকায় সাধারণ মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সভাকে কেন্দ্র করে গোটা তাহেরপুর এলাকা জুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্য পুলিশের ডিআইবির তরফ থেকে মেটাল ডিটেকটিভ ও নেপার ডগ এলাকা তল্লাশি করা হচ্ছে। যাতে অপীতিকার ঘটনা না ঘটে।
55
কী বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী?
সিএএ এবং এসআইআর আবহে প্রধানমন্ত্রীর এই সভা থেকে কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। কারণ, নদীয়া জেলা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে প্রচুর পরিমাণে নমঃশূদ্র, মতুয়াদের বাস। ছাব্বিশের ভোটের আগে নিজেদের পালে মতুয়া ভোট টানতে শনিবারের এই সভা যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।