
বনগাঁ: নজরদারি কড়া করার পরও সীমান্তে ঠেকানো যাচ্ছে না অনুপ্রবেশের বাড়বাড়ন্ত। ফের সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Bangladeshi)। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন পাচারকারীকে। সূত্রের খবর, শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই অনুপ্রবেশকারীদের। গ্রেফতার করা হয়েছে পাচারকারীদেরও।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করে বনগাঁ থানার পুলিশ। এভাবে চোরাপথে অনুপ্রবেশের পিছনে বড়সড় কোনও ছক রয়েছে তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। বনগাঁ থানা এলাকার গাঁড়াপোতা ও পাইকপাড়া এলাকায় হানা দিয়ে চারজন পাচারকারী ও তিনজন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত পাচারকারীদের নাম হল- আবুল হাসান, আকাশ সর্দার, সাগর মণ্ডল ও আলতাব হাসান মণ্ডল। এবং মহিলা অনুপ্রবেশকারীদের নাম হল- নাজমা সর্দার ও নাজমা হাসান।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের যশোর জেলায়। ধৃত দুই মহিলাকে জেরায় পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে, তারা চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করে কাজের উদ্দেশে এখানে এসেছিল। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার পাইকপাড়া থানা এলাকা থেকে একজন পাচারকারী রানা বিশ্বাস ও এক মহিলা রূপা বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মহিলার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকার মীরপুরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ধৃত এই মহিলাও চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে কাজের খোঁজে। এদিকে কোর্টে তোলার আগে ধৃত বাংলাদেশি মহিলা রূপা বিশ্বাস জানিয়েছেন যে, রানা বিশ্বাস তার স্বামী। দুই বছর আগে তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন। অভিযোগ, টাকা দিয়ে একবছর আগে তিনি ভারতীয় নথিও বানিয়েছেন। যদিও তিন বাংলাদেশি মহিলা ও চার পাচারকারীকে পুলিশ হেফাজত চেয়ে বারাসাত মহাকুমা আদালতে তোলে পুলিশ।
অন্যদিকে, বুধবার ফের নদীয়া থেকে গ্রেফতার হয় আরও এক বাংলাদেশি। এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বাংলাদেশির নাম জসিম উদ্দিন। তিনি বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা এলাকার জীবননগরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার তিনি তার পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে যখন বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য অভিবাসন দফতরে যান, অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা তার পাসপোর্ট বাতিল বলে দেখতে পান। এরপর তারা কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে ওই বাংলাদেশিকে তুলে দিলে পুলিশ জানতে পারে, ওই বাংলাদেশি বাংলাদেশের বাসিন্দা সহ ভারতীয় বাসিন্দা হিসেবেও তার পরিচয় পত্র বানিয়ে ফেলেছে। ঘটনায় ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে আদালতে পাঠায় নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।