জুনিয়র ডাক্তার স্নিগ্ধা হাজরার বাড়িতে পুলিশ! কাউকে না পেয়ে ফোনে বলল, 'অনশন তুলে নিতে বলুন'

স্নিগ্ধার বাড়িতে হটাৎ পুলিশ।

স্নিগ্ধার বাড়িতে হটাৎ পুলিশ। আরজি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে অনশনে বসা জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে অন্যতম স্নিগ্ধা হাজরার বাড়িতে এবার পৌঁছে গেল পুলিশ।

বৃহস্পতিবার, গভীর রাত এবং শুক্রবার সকালে স্নিগ্ধার বাঁকুড়া শহরের প্রতাপবাগানের বাড়িতে যান পুলিশকর্মীরা। তবে জুনিয়র ডাক্তারের পরিবারের কারও দেখা পাননি তারা। জানা যাচ্ছে, মাঝ রাতে প্রায় ৪০ মিনিট দরজার বাইরে কড়া নেড়ে ফিরে যায় তারা।

Latest Videos

পরদিন, মানে শুক্রবার সকালে মূল দরজা তালাবন্ধ দেখে দ্বিতীয়বারের জন্য ফিরতে হয় পুলিশকে। এমনকি, সরকারিভাবে পুলিশের তরফ থেকেও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, অনশনরত চিকিৎসকের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ।

অন্যদিকে, স্নিগ্ধার পরিবারের তরফে জানা গেছে, বাড়ির সদস্যরা আপাতত প্রতাপনগরে নেই। তারা একটি বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে আছেন। জানা যাচ্ছে, ৬ মাস আগে বিয়ে হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার স্নিগ্ধার। স্বামী দেবাশিস হালদারও ওই মেডিক্যাল কলেজেরই জুনিয়র ডাক্তার। আরজি করের নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়ে কয়েকজন সহকর্মী তথা সহযোদ্ধার সঙ্গে আমরণ অনশনে বসেছেন স্নিগ্ধা।

সেই আন্দোলনকারীদের মধ্যে রয়েছেন দেবাশিসও। তবে তিনি নিজে অনশন করছেন না। শুক্রবার, সপ্তম দিনে পা দিল স্নিগ্ধাদের আমরণ অনশন। গত শনিবার রাত থেকে তারা অনশন শুরু করেছেন। অনশনের ষষ্ঠ দিন, তথা বৃহস্পতিবার আরজি করের অনশনরত চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক পরিস্থিতির অনেকটাই অবনতি হয়। রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়ে। তিনি এখন কিছুটা সুস্থ বলে জানা যাচ্ছে।

তবে বাকিদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। স্নিগ্ধার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা নাগাদ তাদের প্রতাপবাগানের বাড়িতে যায় পুলিশ। একাধিক বার দরজায় কড়াও নাড়েন পুলিশকর্মীরা। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে অপেক্ষার পরেও স্নিগ্ধার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে না বেরোনোয় পুলিশ চলে যায়। তারপর শুক্রবার, সকালে আবার একবার ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। কিন্তু কারও দেখা পায়নি। স্নিগ্ধার পরিবারের এক সদস্যের দাবি, এরপর পুলিশ ফোনে যোগাযোগ করে স্নিগ্ধার বাবা-মায়ের সঙ্গে।

নিজের শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তাদের মেয়ে যাতে অনশন তুলে নেন, সেই বিষয়ে তাঁকে বোঝাতে অনুরোধ করা হয়। তবে স্নিগ্ধার বাবা জানান, মেয়ে যথেষ্ট বড় হয়েছেন এবং তাদের থেকে অনেক দূরে রয়েছেন। মেয়ে জেনে বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে তারা আর কোনও কথা বলবেন না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

‘TMC-র জন্য West Bengal এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য’ তৃণমূলকে ধুয়ে দিলেন Adhir Ranjan Chowdhury
সৎ বাবা না পাষণ্ড! কাণ্ড দেখে আঁতকে উঠবেন আপনিও! | South 24 Parganas News Today
New Alipore-এ বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন! পুড়ে ছাই একাধিক ঝুপড়ি, আগুন নেভাতে মরিয়া দমকল
'আমরা স্বাধীন করালাম আর বাংলাদেশ বাবা-মা ভাবছে পাকিস্তানকে', বাংলাদেশকে ধুয়ে দিলেন Locket Chatterjee
Dev Adhikari : এবার কী আসছে খাদান ২? খাদান সাফল্য পেতেই বড়সড় ঘোষণা দেব-যীশুদের