
Birbhum News: আবারও বোমা উদ্ধার হল দুবরাজপুরে। বীরভূমের দুবরাজপুর থানার যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধ-গ্রামে দুটি থলি ভর্তি ৪০ টি তাজা বোমা উদ্ধার করলো দুবরাজপুর থানার পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুবরাজপুর থানার পুলিশ। তারপর খবর দেওয়া হয় সিআইডি বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। তারা থলি ভর্তি বোমাগুলো একটি ফাঁকা জায়গায় নিস্ক্রিয় করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পুলিশ গোপন সূত্রের খবর পেয়ে ধ-গ্রামে শাল নদীর ধারে একটি ঝোঁপ থেকে দুটি থলি ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে। কারা এবং কি উদ্দেশ্যে এই তাজা বোমাগুলো রেখেছিল তা তদন্ত করে দেখছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। তবে কয়েক মাস আগে এই জায়গা থেকে কয়েক মিটার দূরে মাটিতে পোঁতা দুই জ্যারিকেন বোমা উদ্ধার করেছিল দুবরাজপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি আড়াই কেজির মত বোমা তৈরির মশলাও উদ্ধার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। সেই বোমা তৈরির মশলাও নিস্ক্রিয় করে সিআইডির বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের টিম।
অন্যদিকে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কৃষ্ণগঞ্জ থানার টুঙ্গি এলাকার পাট ক্ষেত থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই খুন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সোমবার রাতে প্রভাত ঘোষ নামে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে পুলিশ হেফাজত চেয়ে মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর দায়রা আদালতে তোলা হয়।
এই খুনের ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আগে মৃত মহিলা মুক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে এই প্রভাত ঘোষের একটা সম্পর্ক ছিল। আর এই সম্পর্কের জেরে বারংবার প্রভাত ঘোষের কাছে টাকার দাবি করত মুক্তি বিশ্বাস। ক্রমশই টাকার দাবিটা বাড়তে থাকে। এরপর সোমবার খুব সকালে তাকে এলাকার একটি পাটের জমিতে ডেকে নিয়ে গিয়ে সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সোমবার সকালে যখন কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার পাট ক্ষেত থেকে রক্তাক্ত মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয় তারপরেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সোমবার রাতেই মূল অভিযুক্ত বানপুরের বাসিন্দা প্রভাত ঘোষকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে আজ পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।